
মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ ::
জামালগঞ্জে রাতের আঁধারে গোচারণ ভূমি ও ফসলি জমিসহ কান্দা কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমি ও গোচারণ ভূমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে করা হচ্ছে বিক্রি। এছাড়াও হাওরের মাঝে ঘরবাড়ি নির্মাণের নামে অপরিকল্পিতভাবে মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে হাওরের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। ধ্বংস করা হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। মালিকানা ও বিভিন্ন সরকারি কান্দা থেকে অবাধে মাটি বিক্রি করে শ্রেণি পরিবর্তন করছে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ।
সম্প্রতি এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জামালগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে জামালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ইনাতনগর গ্রামের পাশেই মাটি কাটার ঘটনাস্থল থেকে ফখরুল ইসলাম ওরফে আমিনুর রশিদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আমিনুর রশিদ আদালতের মাধ্যমে পরদিন জামিনে আসার পর তার নির্দেশে পূনরায় এস্কেভেটর দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি কাটা শুরু করে চক্রটি।
পরে গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ সংশ্লিষ্ট স্থানে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান।
কিন্তু তবুও থামছে না তাদের মাটিকাটা। এতে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে কার ইশারায় এবং কোন খুঁটির জোরে প্রশাসন ও গ্রামবাসীকে উপেক্ষা করে অবাধে মাটি কাটছে চক্রটি।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের কবরস্থানের পাশে অবস্থিত ওই গ্রামের এজমালি রেকর্ডভুক্ত গোচারণ ভূমি (লায়েক পতিত)। সেখানে দেখা যায়, রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে ৪-৫ ফুট গভীর ও প্রায় একশ ফুট প্রশস্ত করে একাধিক স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ।
এ ব্যাপারে ইনাতনগর গ্রামের আবুল লেইছ বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের এজমালী রেকর্ডভুক্ত মালিকানাধীন ওই গোচারণ ভূমি। সম্প্রতি আমাদের গ্রামের আমিনুর রশিদের নির্দেশে কয়েকটা পরিবার উক্ত গোচারণ ভূমির মধ্যখানে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বাড়িঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করে। পরে এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা এই গ্রামের এজমালী জায়গার ভূমি থেকেই মাটি কাটা শুরু করে। এতে গ্রামের লোকজন বাঁধা দিলে দিনের বদলে রাতের আঁধারে মাটি কাটে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেছি। এভাবে মাটি কেটে নিয়ে গেলে আমাদের ধান শুকানোসহ গরু চড়ানোর কোনো জায়গা থাকবেনা।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা মো. তোফায়েল বলেন, রাত ১১টায় তাদের মাটি কাটা শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলে। এভাবে প্রতিদিন গোচারণ ভূমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বাড়িঘর নির্মাণের নামে যেভাবে মাটি কাটা ও ফেলা হচ্ছে এতে করে একদিকে গ্রামবাসীর গরুর ঘাস খাওয়ার গোচারণ ভূমি ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বৈশাখ মাসে কৃষকদের ধান শুকানোর খলা হিসেবে ব্যবহার করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ার হুমকিতে পড়েছে। এতে গ্রামবাসী বাঁধা দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে শর্তসাপেক্ষে একটি সমাধান হলেও পুনরায় আবার শর্ত ভঙ্গ করে আগের মতই অবাধে মাটিকাটা শুরু করে তারা।
পরে উপজেলা প্রশাসন ও জামালগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা।
অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম ওরফে আমিনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্রামের কয়েকটি পরিবার নতুন একটি ছোট গ্রাম নির্মাণের জন্য তারা উল্লেখিত ভূমি থেকে মাটি কেটেছে। তবে আমি এটার মধ্যে জড়িত নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সার্ভেয়ারকে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালগঞ্জে রাতের আঁধারে গোচারণ ভূমি ও ফসলি জমিসহ কান্দা কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমি ও গোচারণ ভূমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে করা হচ্ছে বিক্রি। এছাড়াও হাওরের মাঝে ঘরবাড়ি নির্মাণের নামে অপরিকল্পিতভাবে মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে হাওরের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। ধ্বংস করা হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। মালিকানা ও বিভিন্ন সরকারি কান্দা থেকে অবাধে মাটি বিক্রি করে শ্রেণি পরিবর্তন করছে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ।
সম্প্রতি এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জামালগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে জামালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ইনাতনগর গ্রামের পাশেই মাটি কাটার ঘটনাস্থল থেকে ফখরুল ইসলাম ওরফে আমিনুর রশিদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আমিনুর রশিদ আদালতের মাধ্যমে পরদিন জামিনে আসার পর তার নির্দেশে পূনরায় এস্কেভেটর দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি কাটা শুরু করে চক্রটি।
পরে গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ সংশ্লিষ্ট স্থানে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান।
কিন্তু তবুও থামছে না তাদের মাটিকাটা। এতে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে কার ইশারায় এবং কোন খুঁটির জোরে প্রশাসন ও গ্রামবাসীকে উপেক্ষা করে অবাধে মাটি কাটছে চক্রটি।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের কবরস্থানের পাশে অবস্থিত ওই গ্রামের এজমালি রেকর্ডভুক্ত গোচারণ ভূমি (লায়েক পতিত)। সেখানে দেখা যায়, রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে ৪-৫ ফুট গভীর ও প্রায় একশ ফুট প্রশস্ত করে একাধিক স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ।
এ ব্যাপারে ইনাতনগর গ্রামের আবুল লেইছ বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের এজমালী রেকর্ডভুক্ত মালিকানাধীন ওই গোচারণ ভূমি। সম্প্রতি আমাদের গ্রামের আমিনুর রশিদের নির্দেশে কয়েকটা পরিবার উক্ত গোচারণ ভূমির মধ্যখানে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বাড়িঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করে। পরে এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা এই গ্রামের এজমালী জায়গার ভূমি থেকেই মাটি কাটা শুরু করে। এতে গ্রামের লোকজন বাঁধা দিলে দিনের বদলে রাতের আঁধারে মাটি কাটে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেছি। এভাবে মাটি কেটে নিয়ে গেলে আমাদের ধান শুকানোসহ গরু চড়ানোর কোনো জায়গা থাকবেনা।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা মো. তোফায়েল বলেন, রাত ১১টায় তাদের মাটি কাটা শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলে। এভাবে প্রতিদিন গোচারণ ভূমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বাড়িঘর নির্মাণের নামে যেভাবে মাটি কাটা ও ফেলা হচ্ছে এতে করে একদিকে গ্রামবাসীর গরুর ঘাস খাওয়ার গোচারণ ভূমি ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বৈশাখ মাসে কৃষকদের ধান শুকানোর খলা হিসেবে ব্যবহার করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ার হুমকিতে পড়েছে। এতে গ্রামবাসী বাঁধা দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে শর্তসাপেক্ষে একটি সমাধান হলেও পুনরায় আবার শর্ত ভঙ্গ করে আগের মতই অবাধে মাটিকাটা শুরু করে তারা।
পরে উপজেলা প্রশাসন ও জামালগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা।
অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম ওরফে আমিনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্রামের কয়েকটি পরিবার নতুন একটি ছোট গ্রাম নির্মাণের জন্য তারা উল্লেখিত ভূমি থেকে মাটি কেটেছে। তবে আমি এটার মধ্যে জড়িত নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সার্ভেয়ারকে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।