
স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ-ডুংড়িয়া সড়কে নিম্নমানের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে সাবস্টেশন অফিসার শাহীনুর রহমান শাহীন এই অনিয়মে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্মাণকাজের দৃশ্যমান সাইনবোর্ড জনসাধারণের সচেতনতার জন্য টাঙানোর কথা থাকলেও এসও (সাবস্টেশন অফিসার) ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের প্রাক্কলন গোপন রাখতে সাইনবোর্ডও টাঙায়নি। এই কাজের তথ্য দিতে লুকোচুরি করছেন প্রকৌশলী ও এসও।
সরেজমিন গত ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায় সড়কটিতে কাজ চলছে। আরসিসি ঢালাইয়ের আগে রড বিছানো হচ্ছে। তবে প্রাক্কলন অনুযায়ী রডের দূরত্ব বেশি রাখা হচ্ছে। ৬ ইঞ্চি রডের জালের বদলে দেওয়া হচ্ছে ১০ ইঞ্চি গ্যাপ। এছাড়াও বালু, পাথর, সিমেন্টে অনুপাতও ঠিক থাকছেনা। এসময় প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ কেন করা হচ্ছেনা জানতে চাইলে ঠিকাদারের নিয়োজিত লোক বলেন, আমরা শাহীনূর এসও স্যারের নির্দেশে কাজ করছি। তিনি বলেছেন কাজের মান ঠিক আছে। সাইনবোর্ড নাই কেন জানতে চাইলে ঠিকাদারের সাইট প্রতিনিধি বলেন, আমরা যা করছি শাহীনূর স্যারের পরামর্শে করছি। উনার কাছে গিয়ে অফিসে জিজ্ঞেস করেন। ওই সাইট কর্মচারী মেসার্স সালেহ এন্ড ব্রাদার্স কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
সিএনজি চালক আলা উদ্দিন বলেন, কাজটি খুবই নিম্ন মানের হচ্ছে। সিমেন্ট কম দিচ্ছে। রডের গ্যাপও বেশি। মাপ অনুযায়ী দিচ্ছেনা। সরকারি লোকজন এসেও দেখছেনা। এই সড়ক বেশি দিন টিকবে না।
অফিসে এসে দেখা যায় প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান নেই। উনার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছু বলতে পারবে আমার এসও শাহীনূর। উনার নম্বরে কথা বলেন।
এসও শাহীনূর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এখন সাইটে। কাজের তথ্য আমার মনে নাই। অফিসে গিয়ে দেখে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাবো। কোন প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে তা জানাতেও লুকোচুরি করেন তিনি। এরপর তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আর কল ধরেননি।
কাজটির বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, জনস্বার্থের কাজ তথ্য দিবেনা কেন। আপনি আবার ফোন দিয়ে তথ্য নিন।
এবার উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ২৫ মার্চ তিনি বলেন, আমি গাড়িতে টাঙ্গাইল যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। এভাবেই প্রকৌশলী ও এসও এই কাজের তথ্য দিতে লুকোচুরি করছেন।