
স্টাফ রিপোর্টার ::
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২৬ মার্চ সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে এই দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ।
পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। এ সময় তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে, যারা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, গভীর দেশপ্রেম, ঐক্য আর ভাতৃত্বের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন ও সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশাকরি একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এক ধরনের স্বার্থান্বেষী মহল জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন গ্রুপ দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বালু ও পাথর মহালে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি উপজেলায় ইজারাধীন জলমহালে মব সিস্টেমের মাধ্যমে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মৎস্য লুটপাটের ঘটনাও ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আমাদের সকলের যার যার অবস্থান থেকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি আর ও বলেন, আমাদের এই প্রিয় দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করা এবং গড়ে তোলার পবিত্র দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সকলের সম্মিলত প্রচেষ্টায় আমরা এই দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে নিয়ে যাবো। স্বাধীনতা দিবসের শুভলগ্ন এই হোক আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার।