সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিশ্ববাজারে দাম কম হওয়ায় আগামী মাস থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) অন্তত দুটি সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
জ্বালানি ও খনিজ স¤পদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) হিসাব-নিকাশ করছে। সেটি হাতে আসার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে জ্বালানির দাম কী হবে।
আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমবে। কোন জ্বালানির দাম কতটুকু কমবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে খুব বেশি দাম হয়তো কমবে না।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিপিসি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি গড় মূল্য প্রাক্কলন করেছিল প্রায় ১২২ ডলার। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির গড় মূল্য এখন ৮০ ডলারের আশপাশে। সামনে তা আরো কমার পূর্বাভাস রয়েছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত মার্চ থেকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করে আসছে সরকার। এই হিসাবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করছে সরকার। যদিও জ্বালানি বিশেষজ্ঞের অনেকের অভিযোগ, যে ফর্মুলায় বিপিসি জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করছে তাতে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিলে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ের জন্য প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১ টাকা কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করা হয় ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা। আর পেট্রোলের দাম লিটারে ১২৭ এবং অকটেনে ১৩১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়।
এর আগে জুন মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে আড়াই টাকা করে। তখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে বাড়ানো হয়। মে মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটারপ্রতি এক টাকা এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম আড়াই টাকা বৃদ্ধি করে সরকার। এর আগের মাসে (এপ্রিল) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমানো হলেও অকটেন ও পেট্রোলের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য সমন্বয়ের প্রথমে মার্চ মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা, অকটেনের দাম ৪ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৩ টাকা কমানো হয়। -দেশ রূপান্তর