
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর ও মোল্লাপাড়া গ্রামে দুই রাস্তা নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই রাস্তা দুইটিতে মাটি ভরাট ও পাকাকরণের কাজ চলছে। এতে রামেশ্বরপুর গ্রামের রাস্তা সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয়েছে ১০ টন চাউল যার মূল্য প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোল্লাপাড়া গ্রামের রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
মোল্লাপাড়া গ্রামের রাস্তায় মাটি ভরাটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। রাস্তার সাইটে মাটি ভরাটের পর ড্রেসিংয়ের নামে একেবারে চওড়া করে মাটি কেটে ইউপি সদস্যা সামছুন নাহারের বসতবাড়িতে ভরাট করা হচ্ছে। এই সড়কের মাটি ভরাটের পর কোনো দুর্মুজ দেয়া হয়নি। কাদা মাটি ফেলা হয়েছে। স্লোপ (ঢালু) দেয়া হয়নি। হালকাভাবে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এই রাস্তাটি বল্লবপুর পাকা রাস্তা থেকে উত্তরমুখি ঈদগাহ পর্যন্ত সংস্কার কাজ চলছে।
অপরদিকে, রামেশ্বরপুর গ্রামের রাস্তার পাকাকরণ কাজে এবং মাটি ভরাটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এই সড়কের মাটি ভরাটের পর কোনো দুর্মুজ দেয়া হয়নি। স্লোপ (ঢালু) দেয়া হয়নি। হালকাভাবে মাটি ভরাট করা হয়েছে। রাস্তার বেশ কয়টি স্থানে মাটি ভরাট না করায় একাধিক গর্ত রয়েছে। পাকাকরণ কাজে মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তার প্রশস্ততায় অমিল রয়েছে। এই রাস্তাটি মূল পাকা রাস্তা থেকে উত্তরমুখি রমজান আলীর বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার কাজ চলছে।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে মোল্লাপাড়া ইউপি সদস্য অলিউর রহমান বলেন, আমি শুধু রামেশ্বরপুর রাস্তার কাজের পিআইসি। অন্যান্য বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব জানেন।
ইউপি সদস্যা সামছুন নাহার বলেন, আমি মোল্লাপাড়া রাস্তার পিআইসি। রাস্তার কিনারের অতিরিক্ত মাটি আমার বাড়িতে নিয়ে ভরাট করছি। আমার মাটি ভরাট বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব জানেন।
মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক বলেন, আমি মোল্লাপাড়া ও রামেশ্বরপুর রাস্তা সংস্কার কাজের কিছুই জানি না। প্রত্যেক স্থানের পিআইসিরা জানেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও আবুল হাসনাত বলেন, মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম হলে আমি নিজে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।