স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীর কেটে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তাহিরপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে তারা জেলা সদরে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে এসে স্মারকলিপি প্রদান করে তরা। মানববন্ধন বক্তাদের বক্তব্য ও স্মারকলিপিতে উল্লেখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ইজারার নামে একটি সিন্ডিকেট প্রকৃতিবিনাশী কাজ করছে যাদুকাটা নদীতে। তারা ড্রেজার মেশিনে নদীর তীর কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। ইজারা এলাকার বাইরেও তারা খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইজারাবিহীন জায়গা থেকেও ড্রেজারে বালু-পাথর আহরণ করছে। ফলে এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার সর্ববৃহৎ জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানও এখন হুমকিতে। এখনো নদীর তীর কেটে দুষ্কৃতকারীরা বালু-পাথর আহরণ করে প্রকৃতিবিনাশী কাজ করছে। বক্তারা এ ঘটনায় থানার ওসি এসএম মাইনুদ্দিন, এসআই হেলাল, রানু মেম্বার ও নোয়াজ আলী মেম্বারসহ স্থানীয় একটি সুবিধাভোগী চক্রও জড়িত বলে মন্তব্য করেন। এই চক্র প্রতি রাতে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে ১০-১২ লক্ষ টাকা কালেকশন করছে। বিষয়টি অনেকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর আগেও ছাত্র-জনতাসহ এলাকাবাসী একই দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ মিছিল দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এলাকার মানুষের আর্তনাদ শুনে প্রাকৃতিক নদী যাদুকাটা রক্ষায় এগিয়ে এসেছি। যদি নদীর তীর কাটা বন্ধ না হয় তাহলে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। মুছে যাবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এখনই লোভীদের থামানো না গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। তাই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ করে স্মারকলিপি দিয়েছি।