
ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলার জহিরপুর গ্রামের বখাটে যুবক মো. সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সাথে তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। শুক্রবার দিনগত রাতে ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই রাতেই বখাটের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করেন। পরবর্তীতে গভীর রাতে পুলিশ বখাটে মো. সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পিতা- মাতার জিম্মায় রেখে গত শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী (১০) গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রে পড়তে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত ছমরু মিয়ার বখাটে ছেলে মো. সাবুল মিয়া (২৫) তাকে মাদ্রাসার দু’তলায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় বখাটে মো. সাবুল মিয়া। দিনব্যাপী ঘটনা গোপন রেখে সমঝোতার চেষ্টা করেন সাবেক ইউপি সদস্যসহ গ্রামের একটি মহল। এক পর্যায়ে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হলে বিষয়টি গ্রামজুড়ে জানাজানি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে বখাটে
মো. সাবুল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এসময় তারা বখাটে যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘটনার খবর পেয়ে জাহিদপুর ক্যা¤প ও জাউয়াবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভোররাতে দোলার বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত বখাটে যুবক মোঃ সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
জাহিদপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম জানান, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং ২০) দায়ের করেছেন। এ মামলায় ধৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে ভিকটিমকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।