স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত দিনমজুর রিপন মিয়ার ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। রিপন মিয়া শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের দিনমজুর কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি একটি ফার্নিচারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে তিনি সাধারণ জনতা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রিপন মিয়ার পিতা কামাল উদ্দিন, বোন রোজিনা বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমন দ্দোজা, সমাজকর্মী মোশারফ মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আহত রিপনের পিতা কামাল উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে একজন দিনমজুর। আমি নিজেও দিনমজুর। ছেলের আয়েই ৬ জনের পরিবারের সংসার চলে। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ছাত্রদের আন্দোলনে যোগদানের অপরাধে সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী তার পেয়ে গুলি করেন। আমি এই ওসি ও সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাসের বিচার চাই।
রিপন মিয়ার বোন মানববন্ধনে বলেন, আমার ভাই সুস্থ হবে কি না জানিনা। সে আর কখনো স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে কি না জানিনা। যারা আমার ভাইয়ের পায়ে গুলি করেছে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা আর কিছু চাইনা।