
বিশেষ প্রতিনিধি ::
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঢাকা-সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যাত্রীবাহী বাসে পণ্য বহন করা হচ্ছে। ওভার লোডের কারণে প্রায়ই এসব বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ট্রাফিক আইন না মেনে দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে ভারি মালামাল বহন করে আসলেও এমন বেআইনি কাজ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লায় সড়ক পথে চলাচল করতে চালু রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির দূরপাল্লার পরিবহন। প্রথম সারির দূরপাল্লার পরিবহনের সেবা নিয়ে সাধারণের মধ্যে সন্তুষ্টি থাকলেও দ্বিতীয় সারির পরিবহনের সেবা নিয়ে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন। দ্বিতীয় সারির প্রায় সবক’টি বাসে ঢাকা থেকে আসার সময় যাত্রীবাহী বাসের ছাদ ও বক্সের ভেতরে ভারী মালামাল নিয়ে আসেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। অধিক মুনাফা লাভের স্বার্থে বাসের চালক, সুপারভাইজার সংশ্লিষ্টরা বাসে করে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, খেজুর, মাছসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসেন। এছাড়াও সুনামগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার সময় মাছ, ডিম, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যান। এতে করে যাত্রীবাহী বাসে মালামাল বহন করে একদিকে যেমন ট্রাফিক আইনের ব্যত্যয় ঘটছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত লোডে সড়ক পথে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রায় সময় যানবাহন সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় যানমালের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার পরিবহন লিমন, বিশাল, কাফি, বিএমসহ একাধিক বাসের ছাদ থেকে ভারী মালামালের বস্তা নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। বাসের ছাদে টাল দিয়ে রাখা আছে পেঁয়াজ, আলু বস্তাসহ বিভিন্ন পণ্য। একেকটি বাসের ছাদে ৩০ থেকে ৪০ বস্তা মালামাল বহন করতে দেখা যায়। কম খরচে মালামাল নিয়ে আসতে এসব দ্বিতীয় সারির বাসকে বেছে নেন ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই এসব বাসে ভারি মালামাল নিয়ে আসা হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মালামাল খালাসের কাজে যুক্ত থাকেন তারা। কাফি পরিবহনের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রথম সারির পরিবহন মামুন, শ্যামলী, এনার ভাড়া বেশি। কিন্তু দ্বিতীয় সারির পরিবহন ভাড়া কম থাকায় মালিক পক্ষের মুনাফা থাকে না, তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীর সাথে মালামাল বহন করতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে এমনটাই হয়ে আসছে বলে জানান তিনি। যাত্রীবাহি বাসে মালামাল বহন করা সড়ক পথে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। সড়ক পথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ বলেন, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ বাসে অতিরিক্ত মালামাল বহন করা হয়, যা বেআইনি। ট্রাফিক বিভাগ এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না। অথচ প্রতিনিয়ত সড়কে বাস দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই দুর্ঘটনার পেছনে ওভার লোড অন্যতম কারণ। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
সুনামগঞ্জের ট্রাফিকের টিআই মো. হানিফ মিয়া বলেন, আমি এ জেলায় নতুন এসেছি। আমরা দেখছি ঢাকা থেকে আসা অনেক পরিবহনে বেআইনিভাবে মালামাল বহন করছেন। এটি সম্পূর্ণ ট্রাফিক আইনের ব্যত্যয় ঘটছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন করছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা মানছেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঢাকা-সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যাত্রীবাহী বাসে পণ্য বহন করা হচ্ছে। ওভার লোডের কারণে প্রায়ই এসব বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ট্রাফিক আইন না মেনে দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে ভারি মালামাল বহন করে আসলেও এমন বেআইনি কাজ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লায় সড়ক পথে চলাচল করতে চালু রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির দূরপাল্লার পরিবহন। প্রথম সারির দূরপাল্লার পরিবহনের সেবা নিয়ে সাধারণের মধ্যে সন্তুষ্টি থাকলেও দ্বিতীয় সারির পরিবহনের সেবা নিয়ে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন। দ্বিতীয় সারির প্রায় সবক’টি বাসে ঢাকা থেকে আসার সময় যাত্রীবাহী বাসের ছাদ ও বক্সের ভেতরে ভারী মালামাল নিয়ে আসেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। অধিক মুনাফা লাভের স্বার্থে বাসের চালক, সুপারভাইজার সংশ্লিষ্টরা বাসে করে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, খেজুর, মাছসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসেন। এছাড়াও সুনামগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার সময় মাছ, ডিম, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যান। এতে করে যাত্রীবাহী বাসে মালামাল বহন করে একদিকে যেমন ট্রাফিক আইনের ব্যত্যয় ঘটছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত লোডে সড়ক পথে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রায় সময় যানবাহন সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় যানমালের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার পরিবহন লিমন, বিশাল, কাফি, বিএমসহ একাধিক বাসের ছাদ থেকে ভারী মালামালের বস্তা নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। বাসের ছাদে টাল দিয়ে রাখা আছে পেঁয়াজ, আলু বস্তাসহ বিভিন্ন পণ্য। একেকটি বাসের ছাদে ৩০ থেকে ৪০ বস্তা মালামাল বহন করতে দেখা যায়। কম খরচে মালামাল নিয়ে আসতে এসব দ্বিতীয় সারির বাসকে বেছে নেন ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই এসব বাসে ভারি মালামাল নিয়ে আসা হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মালামাল খালাসের কাজে যুক্ত থাকেন তারা। কাফি পরিবহনের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রথম সারির পরিবহন মামুন, শ্যামলী, এনার ভাড়া বেশি। কিন্তু দ্বিতীয় সারির পরিবহন ভাড়া কম থাকায় মালিক পক্ষের মুনাফা থাকে না, তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীর সাথে মালামাল বহন করতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে এমনটাই হয়ে আসছে বলে জানান তিনি। যাত্রীবাহি বাসে মালামাল বহন করা সড়ক পথে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। সড়ক পথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ বলেন, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ বাসে অতিরিক্ত মালামাল বহন করা হয়, যা বেআইনি। ট্রাফিক বিভাগ এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না। অথচ প্রতিনিয়ত সড়কে বাস দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই দুর্ঘটনার পেছনে ওভার লোড অন্যতম কারণ। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
সুনামগঞ্জের ট্রাফিকের টিআই মো. হানিফ মিয়া বলেন, আমি এ জেলায় নতুন এসেছি। আমরা দেখছি ঢাকা থেকে আসা অনেক পরিবহনে বেআইনিভাবে মালামাল বহন করছেন। এটি সম্পূর্ণ ট্রাফিক আইনের ব্যত্যয় ঘটছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন করছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা মানছেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।