সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
“ধান কাটার মৌসুমের মতো এখন দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক দাবির একটা আর্থিক সংশ্লেষ আছে। এতে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব হঠাৎ করে রাতারাতি বাড়বে না। ফলে সরকার কীভাবে এসব দাবি স্বল্প সময়ে পূরণ করবে? এসব দাবি পূরণ করতে হলে সরকারের টাকা ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি হলে জনসাধারণ সাফার করবে।”
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গত রবিবার রাতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত আনসারের সঙ্গে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে তিনি ঢামেকে যান। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের ফাওজুল কবির খান বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লে বাজারে আলুর দাম ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হবে। পটলের দাম বেড়ে যাবে। তেলের দাম ২০০ টাকা ছোঁবে। পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা হবে।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আসলে আমরা আলাপ করতে রাজি। এমন হয়নি যে কোনও উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারের মেন্ডেট খুব স্ট্রং। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। সুতরাং কেউ যাতে মনে না করে যে এই সরকার বানের জলে ভেসে আসা সরকার। আমরা ন্যায্য দাবি ও বৈষম্য স¤পর্কে ওয়াকিবহাল। তবে বৈষম্য বিলোপের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার। এই জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে যত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সরকার তা নেবে। তবে তার জন্য সময় প্রয়োজন।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।