জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, এদেশের মানুষের কোন রকম অধিকার ছিল না, ছাত্র-জনতা ৫ আগস্ট জনগণের অধিকার আদায় করে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের কোন প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যায়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে সরকার প্রধানসহ ৩৫০ জন মন্ত্রী-এমপি আত্মগোপন করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে এরকম নজির নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিদায়ের পূর্বে হাজারো ছাত্র-জনতাকে শহীদ ও প্রায় ৫০ হাজারের মতো আহত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী প্রত্যেক শহীদের পরিবার ও আহতদের খোঁজ-খবর নিয়ে যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি। আমিরে জামায়াতের নির্দেশে শহীদ সোহাগের পরিবারের খোঁজ নিতে জামালগঞ্জ এসেছি। সোহাগ আমাদের গর্ব। নতুন বাংলাদেশ সোহাগের মতো গর্বিত সন্তানদের আজীবন স্মরণ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ হুকুম আমাদের সেনাবাহিনী মানতে রাজি হয়নি বলেই, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নতুন বাংলাদেশ আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। এদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানের। সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার সার্থে সংখ্যালঘু শব্দ ব্যবহার ফায়দা হাসিল করেছিল।
তিনি সোমবার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়ন এর গোলামীপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ সোহাগের বাড়িতে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নূরুল আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিন, নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ, সিলেট মহানগরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানি, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মমতাজুল হাসান আবেদ, অফিস সম্পাদক নূরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ফখরুল আলম প্রমুখ। উঠান বৈঠক শেষে শহীদ সোহাগের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।