সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কত জনের কারাদন্ড মওকুফ, দন্ড-স্থগিত বা হ্রাস করেছেন তার তালিকা প্রকাশ ও প্রদানের জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে বহু ক্রিমিনাল, হত্যা মামলার দ-প্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দ- মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় বহু ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি জেল থেকে বেরিয়ে সমাজে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে বা দ- মওকুফ করে দায় মুক্তি দিচ্ছেন তা একজন নাগরিক হিসেবে আমার/আমাদের জানার অধিকার আছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনোরূপ বল প্রয়োগ আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির দ- মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দ- মত্তকুফের মানদ- কী? তা মানুষের জানা দরকার। তাই এখানে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যত জনকে রাষ্ট্রপতি দ- মওকুফ করে বা দ- স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা ও কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ- মওকুফ হওয়াদের তালিকা না পেলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।