![](https://sunamkantha.com/public/postimages/67ace0c64bb28.jpeg)
সমস্যাটা জলাবদ্ধতার। হাওর থেকে জল সরছে না। সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে বাঁধের কারণে। এখানে বাঁধ অবশ্য হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। গত বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদপ্রতিবেদন বলছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের জামখলা হাওরের ভুক্তভোগীরা বলছেন, “ইউএনও স্যার বলছেন বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা যাবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বাঁধ কেটে পানি বের করার পর আবার সুরক্ষিতভাবে বাঁধ বেধে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও ইউএনও স্যার অনুমতি দিচ্ছেন না।” এতে করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা না গেলে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকবে, ক্ষেতে চারা লাগানো যাবে না, ফসলও ফলবে না। বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসল ফলাতে না পারলে এমন বাঁধ দিয়ে দরকার কী? দরকার যে নেই, সেটা কৃষক সাধারণের বোধগম্য হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বোধগম্য নয়, বলেই বোধ হচ্ছে।
আমরা তাঁকে আপাতত অভিযুক্ত করছি না, বরং নিবেদন করছি তিনি যেনো বাঁধ কেটে হোক বা না-কেটে হোক, সম্ভাব্য যে-কোনও উপায়প্রকারে হাওরের জলাবদ্ধতার নিরসন করেন এবং তা করতে হবে ঘাত অর্থাৎ ক্ষেতে চারা রোপণের সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগে। অবশ্য বাঁধ অক্ষত রেখে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার নিরসন কোনও অলৌকিক উপায় ব্যতীত অন্যকোনও বাস্তব উপায়ে সম্ভব নয়। কারণ বাঁধের কারণেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুলে গেলে চলবে না যে, এই জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে হাওর পতিত থাকবে, প্রকারান্তরে কৃষকের ঘরে ফসল উঠবে না, দেশের খাদ্যোৎপাদন কমবে, দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে এবং সংশ্লিষ্টরা তার জন্য অবশ্যই দায়ি হবেন।