![](https://sunamkantha.com/public/postimages/67acd9cbf2831.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কর্ণগাঁও সংলগ্ন মরা সুরমা নদী থেকে আলী পাশা (৩৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামের মৃত মুক্তার উল্লাহ’র ছেলে। আলী পাশা ৪ দিন যাবত নিখোঁজ ছিলেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন লাশটি নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা দিরাই থানায় এসে লাশটি শনাক্ত করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিরাই উপজেলার করিম ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামের এক ব্যক্তি আলী পাশার পাওয়ার টিলারসহ তাকে সাকিতপুর গ্রামের হাওরে জমি চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এরপর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫দিনের মাথায় নদীতে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দিরাই থানাকে অবহিত করে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে, লাশের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে টাইলা গ্রামের তার স্বজনরা দিরাই থানায় গিয়ে আলী পাশার লাশ শনাক্ত করেন। পরে দিরাই থানা পুলিশ লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে নিহত আলী পাশার মামা মো. জামাল উদ্দিন জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলী পাশাকে তার পাওয়ার টিলারসহ সাকিতপুর গ্রামের এক ব্যক্তি তার জমিন চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এরপর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় তার নিথর দেহ কর্ণগাঁও গ্রামের সুরমা নদীতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তিনি দাবি করেন, তার ভাগ্নেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মছরু মিয়া জানান, উদ্ধারকৃত লাশটি আমার চাচাতো ভাইয়ের। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় আমরা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক লাশ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।