
স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার করিমপুর ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের বেহাল দশা। কাজের অগ্রগতি খুবই ধীরগতি। এভাবে কাজ করলে এপ্রিল মাসেও বাঁধের কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিশেষ করে ক্লোজারগুলো অরক্ষিত থাকায় কৃষকের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের। পরিদর্শন করা তিনটি বাঁধেই ক্লোজার রয়েছে কিন্তু একটি ক্লোজারের কাজও শেষ করা হয়নি। শনিবার করিমপুর ইউনিয়নের ৮০ নাম্বার প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, কাজ চলছে তবে ক্লোজারের স্লোপের কাজ হয়নি। পিআইসির সভাপতি জানান, আমাকে প্রথম যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপে কাজ এবং বাজেট বর্ধিত করা হয়েছে। আশা করি সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবো। একই ইউনিয়ন ৮১নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, এলোপাতাড়িভাবে কিছু মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। বাঁধের কাজের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনভাবে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে দেখেই বুঝা যায় এ কাজের কোনো মনিটরিং নেই। বড় মাটির চাকা ফেলে রাখা হয়েছে। ক্লোজারের অবস্থাও বেহাল। তাই কৃষকরা মনে করছেন সামান্য বৃষ্টি হলেই এ মাটি সরে যাবে। স্থানীয়রা বলেন, কালনী নদীর পার হওয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধের নিচ দিয়ে পানি আসবে তখন হয়তো কাকড়া বা ইঁদুরের দোষ দেবেন পাউবো কর্মকর্তারা। তাড়ল ইউনিয়নের ৮৩নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের কাজ বন্ধ। এ কাজের সাথে জড়িত কেউ বাঁধে নেই। কিছু দূর দূর মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। তবে কাজের গুণগত মান খবই খারাপ। এ বাঁধেও ক্লোজার রয়েছে। এখনও ক্লোজারের কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু গতবারের মাটি ঠিক থাকায় খুব বেশি মাটি ফেলতে হচ্ছে না। গতবারের বাঁশ থাকলেও এবার নতুন করে কোন বাঁশের কাজ হচ্ছে না। প্রতিটি বাঁধের কাজই শুরু হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আর মাত্র বিশ দিন বাকি থাকলেও এখানে মাটির কাজের ৪০-৩৫ শতাংশ হয়েছে। বাঁধগুলোর কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, প্রতিবছর মাঘ মাসে বৃষ্টি হয় এবার বৃষ্টি না হওয়ায় বাঁধের কাজ আস্তে আস্তে করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাঁধের কাজের গতি বৃদ্ধি করা হবে। কাজ শেষ করলে তো কাজের বরাদ্দ বাড়ানো যাবে না। তাড়ল ইউনিয়নের আরেকটি বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, দুজন শ্রমিক বাঁধের পাশে কিছু মাটি দিয়ে বাঁশের লাঠি ঠিক করছেন। বাঁধে দুরমুজ করার কথা থাকলেও আপনারা বাঁশের লাঠি দিয়ে কাজ করছেন কেন জানতে চাইলে তারা জানান দুরমুজ বাঁধের মালিকের বাড়িতে আছে আমাদের এভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, সঠিক সময়ে কোন বাঁধের কাজ শুরু হয়নি, তাই সঠিক সময়ে শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দিরাই উপজেলায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কাজের ধীরগতি ও গুণগতমান সন্তোষজনক নয়। আমরা মনে করি দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার কারণেই এই অবস্থা।
দিরাই উপজেলার করিমপুর ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের বেহাল দশা। কাজের অগ্রগতি খুবই ধীরগতি। এভাবে কাজ করলে এপ্রিল মাসেও বাঁধের কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিশেষ করে ক্লোজারগুলো অরক্ষিত থাকায় কৃষকের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের। পরিদর্শন করা তিনটি বাঁধেই ক্লোজার রয়েছে কিন্তু একটি ক্লোজারের কাজও শেষ করা হয়নি। শনিবার করিমপুর ইউনিয়নের ৮০ নাম্বার প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, কাজ চলছে তবে ক্লোজারের স্লোপের কাজ হয়নি। পিআইসির সভাপতি জানান, আমাকে প্রথম যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপে কাজ এবং বাজেট বর্ধিত করা হয়েছে। আশা করি সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবো। একই ইউনিয়ন ৮১নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, এলোপাতাড়িভাবে কিছু মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। বাঁধের কাজের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনভাবে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে দেখেই বুঝা যায় এ কাজের কোনো মনিটরিং নেই। বড় মাটির চাকা ফেলে রাখা হয়েছে। ক্লোজারের অবস্থাও বেহাল। তাই কৃষকরা মনে করছেন সামান্য বৃষ্টি হলেই এ মাটি সরে যাবে। স্থানীয়রা বলেন, কালনী নদীর পার হওয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধের নিচ দিয়ে পানি আসবে তখন হয়তো কাকড়া বা ইঁদুরের দোষ দেবেন পাউবো কর্মকর্তারা। তাড়ল ইউনিয়নের ৮৩নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের কাজ বন্ধ। এ কাজের সাথে জড়িত কেউ বাঁধে নেই। কিছু দূর দূর মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। তবে কাজের গুণগত মান খবই খারাপ। এ বাঁধেও ক্লোজার রয়েছে। এখনও ক্লোজারের কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু গতবারের মাটি ঠিক থাকায় খুব বেশি মাটি ফেলতে হচ্ছে না। গতবারের বাঁশ থাকলেও এবার নতুন করে কোন বাঁশের কাজ হচ্ছে না। প্রতিটি বাঁধের কাজই শুরু হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আর মাত্র বিশ দিন বাকি থাকলেও এখানে মাটির কাজের ৪০-৩৫ শতাংশ হয়েছে। বাঁধগুলোর কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, প্রতিবছর মাঘ মাসে বৃষ্টি হয় এবার বৃষ্টি না হওয়ায় বাঁধের কাজ আস্তে আস্তে করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাঁধের কাজের গতি বৃদ্ধি করা হবে। কাজ শেষ করলে তো কাজের বরাদ্দ বাড়ানো যাবে না। তাড়ল ইউনিয়নের আরেকটি বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, দুজন শ্রমিক বাঁধের পাশে কিছু মাটি দিয়ে বাঁশের লাঠি ঠিক করছেন। বাঁধে দুরমুজ করার কথা থাকলেও আপনারা বাঁশের লাঠি দিয়ে কাজ করছেন কেন জানতে চাইলে তারা জানান দুরমুজ বাঁধের মালিকের বাড়িতে আছে আমাদের এভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, সঠিক সময়ে কোন বাঁধের কাজ শুরু হয়নি, তাই সঠিক সময়ে শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দিরাই উপজেলায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কাজের ধীরগতি ও গুণগতমান সন্তোষজনক নয়। আমরা মনে করি দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার কারণেই এই অবস্থা।