
সামছুল ইসলাম সরদার ::
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে মানুষ ভালোবাসে বলেই হৃদয়ের টানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে ছুটে এসেছেন। তাঁর গানের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি। তার স্মৃতি বিজড়িত উজান ধলের মাঠে আজকের অনুষ্ঠানই প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয়। তিনি আমাদের জন্য যা সৃষ্টি করে গেছেন, তার সৃষ্টিচর্চা আরও বাড়াতে হবে। সকল শ্রেণিপেশার জনগণকে তার স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের উজানধল গ্রামের মাঠে দুই দিনব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি জেলা। এখানে অসংখ্য বাউল, সাধক ও গুণীজন জন্মেছেন। বাউল শাহ আবদুল করিম সাধারণ কথায় অসাধারণ বিষয়কে সহজ করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁর সৃষ্টি ও কর্ম ধরে রাখতে যেকোনো উদ্যোগে প্রশাসন পাশে থাকবে। শাহ আব্দুল করিম পরিষদ ও উজানধল গ্রামবাসীর আয়োজনে ও মোবাইল সেবাদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের সহযোগিতায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শাহ আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি করিমপুত্র গীতিকার শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে এবং দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী ও দিপু মণি দাসের সঞ্চালনায় উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জিব সরকার, বিকাশের হেড অব ডিপার্টমেন্ট (রেগুলেটরি এন্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার) মেজর জেনারেল (অব.) মনিরুল ইসলাম, দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, করিম যেমন মানুষকে ভালোবাসতেন, তেমনি মানুষও শাহ আবদুল করিমকে ভালোবাসত। সেই ভালোবাসার টানেই মানুষ এখানে ছুটে আসে। শুদ্ধ স্বরে ও কথায় তাঁর গান গাইতে হবে, এটা তিনি নিজেও চাইতেন। কিন্তু নানা মাধ্যমে এখন তাঁর গান বিকৃত সুরে প্রচার হচ্ছে, এটি দুঃখজনক। বক্তারা আরও বলেন, শাহ আবদুল করিম এই উজানধলের বসন্ত বাতাসে, তাঁর প্রিয় নদী কালনীর জলে-ঢেউয়ে মিশে আছেন। মানুষই ছিল করিমের ধ্যানজ্ঞান। শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব হলো সাম্য-মৈত্রীর মিলন উৎসব। উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম জীবনভর সাম্য ও মানুষের জয়গান গেয়েছেন। শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর গান প্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর দর্শন ও গানের মূল কথা মানুষের মুক্তি। তাঁর সৃষ্টিকর্মের চর্চা বাড়াতে হবে। উদ্বোধন শেষে মঞ্চে বাউল সম্রাটের জনপ্রিয় গান গাইতে শুরু করেন তাঁর ভাবশিষ্যরা। দূরদূরান্ত থেকে আসা করিমভক্তরা তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন। উৎসবের উদ্বোধনী দিনে বাউল করিমের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন বাউল রণেশ ঠাকুর, আবদুর রহমান, আবদুল তোহায়েদ, সিরাজ উদ্দিন, ইমরান শাহ, প্রাণকৃষ্ণ, লাল শাহ, শিপন আহমেদ, আজগর আলী, শান্তা সরকার, শারমিন প্রমুখ। এই শিল্পীরা বাউল করিমের, বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে..., গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান..., আমি বাংলা মায়ের ছেলে..., বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে..., গাড়ি চলে না চলে না রে..., তুমি আমার আমি তোমার..., কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু..., তুমি বিনে আকুল পরাণ..., তুমি মানুষ আমি মানুষ...সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। আজ শনিবার উৎসব শেষ হবে। প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি সংগীতপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে উজানধল গ্রাম। এই উজানধল গ্রামেই ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে মানুষ ভালোবাসে বলেই হৃদয়ের টানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে ছুটে এসেছেন। তাঁর গানের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি। তার স্মৃতি বিজড়িত উজান ধলের মাঠে আজকের অনুষ্ঠানই প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয়। তিনি আমাদের জন্য যা সৃষ্টি করে গেছেন, তার সৃষ্টিচর্চা আরও বাড়াতে হবে। সকল শ্রেণিপেশার জনগণকে তার স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের উজানধল গ্রামের মাঠে দুই দিনব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি জেলা। এখানে অসংখ্য বাউল, সাধক ও গুণীজন জন্মেছেন। বাউল শাহ আবদুল করিম সাধারণ কথায় অসাধারণ বিষয়কে সহজ করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁর সৃষ্টি ও কর্ম ধরে রাখতে যেকোনো উদ্যোগে প্রশাসন পাশে থাকবে। শাহ আব্দুল করিম পরিষদ ও উজানধল গ্রামবাসীর আয়োজনে ও মোবাইল সেবাদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের সহযোগিতায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শাহ আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি করিমপুত্র গীতিকার শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে এবং দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী ও দিপু মণি দাসের সঞ্চালনায় উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জিব সরকার, বিকাশের হেড অব ডিপার্টমেন্ট (রেগুলেটরি এন্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার) মেজর জেনারেল (অব.) মনিরুল ইসলাম, দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, করিম যেমন মানুষকে ভালোবাসতেন, তেমনি মানুষও শাহ আবদুল করিমকে ভালোবাসত। সেই ভালোবাসার টানেই মানুষ এখানে ছুটে আসে। শুদ্ধ স্বরে ও কথায় তাঁর গান গাইতে হবে, এটা তিনি নিজেও চাইতেন। কিন্তু নানা মাধ্যমে এখন তাঁর গান বিকৃত সুরে প্রচার হচ্ছে, এটি দুঃখজনক। বক্তারা আরও বলেন, শাহ আবদুল করিম এই উজানধলের বসন্ত বাতাসে, তাঁর প্রিয় নদী কালনীর জলে-ঢেউয়ে মিশে আছেন। মানুষই ছিল করিমের ধ্যানজ্ঞান। শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব হলো সাম্য-মৈত্রীর মিলন উৎসব। উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম জীবনভর সাম্য ও মানুষের জয়গান গেয়েছেন। শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর গান প্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর দর্শন ও গানের মূল কথা মানুষের মুক্তি। তাঁর সৃষ্টিকর্মের চর্চা বাড়াতে হবে। উদ্বোধন শেষে মঞ্চে বাউল সম্রাটের জনপ্রিয় গান গাইতে শুরু করেন তাঁর ভাবশিষ্যরা। দূরদূরান্ত থেকে আসা করিমভক্তরা তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন। উৎসবের উদ্বোধনী দিনে বাউল করিমের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন বাউল রণেশ ঠাকুর, আবদুর রহমান, আবদুল তোহায়েদ, সিরাজ উদ্দিন, ইমরান শাহ, প্রাণকৃষ্ণ, লাল শাহ, শিপন আহমেদ, আজগর আলী, শান্তা সরকার, শারমিন প্রমুখ। এই শিল্পীরা বাউল করিমের, বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে..., গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান..., আমি বাংলা মায়ের ছেলে..., বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে..., গাড়ি চলে না চলে না রে..., তুমি আমার আমি তোমার..., কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু..., তুমি বিনে আকুল পরাণ..., তুমি মানুষ আমি মানুষ...সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। আজ শনিবার উৎসব শেষ হবে। প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি সংগীতপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে উজানধল গ্রাম। এই উজানধল গ্রামেই ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম।