
স্টাফ রিপোর্টার ::
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর অংশ হিসেবে ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা’ সুরের মুগ্ধতা ছড়িয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহ¯পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর সমাপনী, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাত ১০টায় সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সনদ ও মেডেল বিতরণ করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এর আগে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (তদূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন প্রবীণ সংগীতশিল্পী মধ্যনগর উপজেলার বাউল নেছার উদ্দিন এবং সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (অনূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন শিশু সংগীতশিল্পী সদর উপজেলার মাশহুরা সুহিতা। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের উৎসবে তারুণ্য মেলা, পৌষ মেলা, বই মেলা, পিঠা উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ২৫টিরও বেশি প্রতিযোগিতা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এসব প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে হাওর-বাঁওর ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত এ জেলার মানুষদের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৫’। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা দেখতে ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই ভিড় করতেন দর্শনার্থীরা। উপভোগ করতেন প্রতিযোগীদের গাওয়া গানগুলো। ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর ২ টি গ্রুপে জেলার ১২টি উপজেলা থেকে মোট ৮৭ জন সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সেরা বউল অন্বেষণ (অনূর্ধ্ব ১৮) তে অংশগ্রহণ করেন ২৭ জন সংগীতশিল্পী। অন্যদিকে সেরা বউল অন্বেষণ (তদূর্ধ্ব ১৮) তে অংশগ্রহণ করেন জেলার ১২ উপজেলার ৬০ জন সংগীতশিল্পী। এর মধ্যে ২ গ্রুপে সেরা বউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিযোগীদের হারিয়ে আয়োজনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়গা করে নেন ১৩ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে সেরা বউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (অনূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাশহুরা সুহিতা। রানার্সআপ হয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার নাদিয়া জাহান এবং তৃতীয় হয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলার পূর্বা দে। এছাড়া ৪র্থ হয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলার রুহিত দাস ও ৫ম হয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার দেবশ্রী দাস স্মৃতি। অন্যদিকে সেরা বউল অন্বেষণ (তদূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন প্রবীণ সংগীতশিল্পী মধ্যনগর উপজেলার বাউল নেছার উদ্দিন। রানার্সআপ হয়েছেন সদর উপজেলার ফারজানা আক্তার আশা, তৃতীয় হয়েছেন দিরাই উপজেলার বাউল সিরাজ উদ্দিন, ৪র্থ হয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পংকজ রায়, ৫ম হয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাবুলাল সরকার, ৬ষ্ঠ হয়েছেন মধ্যনগর উপজেলার লিমা আক্তার, ৭ম হয়েছেন দিরাই উপজেলার শিমুল পাল এবং ৮ম হয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলার আমেনা জালালী। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রাইজমানি, সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সহধর্মিণী পারভীন সুলতানা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী নূরে সাবা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সময় কুমার পাল, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজনটি মূলত প্রতিভাবান শিল্পীদের অন্বেষণ করে তাদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সম্প্রসারিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখানে জেলার সবকটি উপজেলার সংগীতশিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেছেন, তারা গান গেয়েছেন একপর্যায়ে তারা চ্যা¤িপয়ন, রানার্সআপ হয়েছেন। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁরা তাদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তিনি এই ধরনের ব্যতিক্রম আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা বলি যে বাউল গান ও লোক সংস্কৃতির রাজধানী হচ্ছে সুনামগঞ্জ। এ জেলায় জন্ম নিয়েছেন, রাধারমণ, হাছনরাজা, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও দূরীবণ শাহ’র মতো বাউল, মরমি কবি ও সাধক। তাদের অনুসরণের মাধ্যমে বাউল গান ও লোক সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে তারুণ্যের উৎসবে আমরা সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা যুক্ত করেছি। প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে নবীন-প্রবীণ সংগীতশিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন। এটাই আমাদের প্রতিযোগিতার সার্থকতা। তিনি আরও বলেন, এ জনপদে ঐতিহ্য সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের সরব উপাদান। আউল-বাউলের চারণভূমি সুনামগঞ্জ তাঁর ঐতিহ্যের ধারা থেকে আজও বিচ্যুত হয়নি।
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর অংশ হিসেবে ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা’ সুরের মুগ্ধতা ছড়িয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহ¯পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর সমাপনী, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাত ১০টায় সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সনদ ও মেডেল বিতরণ করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এর আগে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (তদূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন প্রবীণ সংগীতশিল্পী মধ্যনগর উপজেলার বাউল নেছার উদ্দিন এবং সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (অনূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন শিশু সংগীতশিল্পী সদর উপজেলার মাশহুরা সুহিতা। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের উৎসবে তারুণ্য মেলা, পৌষ মেলা, বই মেলা, পিঠা উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ২৫টিরও বেশি প্রতিযোগিতা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এসব প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে হাওর-বাঁওর ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত এ জেলার মানুষদের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৫’। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা দেখতে ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই ভিড় করতেন দর্শনার্থীরা। উপভোগ করতেন প্রতিযোগীদের গাওয়া গানগুলো। ‘সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর ২ টি গ্রুপে জেলার ১২টি উপজেলা থেকে মোট ৮৭ জন সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সেরা বউল অন্বেষণ (অনূর্ধ্ব ১৮) তে অংশগ্রহণ করেন ২৭ জন সংগীতশিল্পী। অন্যদিকে সেরা বউল অন্বেষণ (তদূর্ধ্ব ১৮) তে অংশগ্রহণ করেন জেলার ১২ উপজেলার ৬০ জন সংগীতশিল্পী। এর মধ্যে ২ গ্রুপে সেরা বউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিযোগীদের হারিয়ে আয়োজনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়গা করে নেন ১৩ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে সেরা বউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা (অনূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাশহুরা সুহিতা। রানার্সআপ হয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার নাদিয়া জাহান এবং তৃতীয় হয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলার পূর্বা দে। এছাড়া ৪র্থ হয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলার রুহিত দাস ও ৫ম হয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার দেবশ্রী দাস স্মৃতি। অন্যদিকে সেরা বউল অন্বেষণ (তদূর্ধ্ব ১৮) তে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন প্রবীণ সংগীতশিল্পী মধ্যনগর উপজেলার বাউল নেছার উদ্দিন। রানার্সআপ হয়েছেন সদর উপজেলার ফারজানা আক্তার আশা, তৃতীয় হয়েছেন দিরাই উপজেলার বাউল সিরাজ উদ্দিন, ৪র্থ হয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পংকজ রায়, ৫ম হয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাবুলাল সরকার, ৬ষ্ঠ হয়েছেন মধ্যনগর উপজেলার লিমা আক্তার, ৭ম হয়েছেন দিরাই উপজেলার শিমুল পাল এবং ৮ম হয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলার আমেনা জালালী। সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রাইজমানি, সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সহধর্মিণী পারভীন সুলতানা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী নূরে সাবা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সময় কুমার পাল, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজনটি মূলত প্রতিভাবান শিল্পীদের অন্বেষণ করে তাদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সম্প্রসারিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখানে জেলার সবকটি উপজেলার সংগীতশিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেছেন, তারা গান গেয়েছেন একপর্যায়ে তারা চ্যা¤িপয়ন, রানার্সআপ হয়েছেন। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁরা তাদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তিনি এই ধরনের ব্যতিক্রম আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা বলি যে বাউল গান ও লোক সংস্কৃতির রাজধানী হচ্ছে সুনামগঞ্জ। এ জেলায় জন্ম নিয়েছেন, রাধারমণ, হাছনরাজা, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও দূরীবণ শাহ’র মতো বাউল, মরমি কবি ও সাধক। তাদের অনুসরণের মাধ্যমে বাউল গান ও লোক সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে তারুণ্যের উৎসবে আমরা সেরা বাউল অন্বেষণ প্রতিযোগিতা যুক্ত করেছি। প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে নবীন-প্রবীণ সংগীতশিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন। এটাই আমাদের প্রতিযোগিতার সার্থকতা। তিনি আরও বলেন, এ জনপদে ঐতিহ্য সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের সরব উপাদান। আউল-বাউলের চারণভূমি সুনামগঞ্জ তাঁর ঐতিহ্যের ধারা থেকে আজও বিচ্যুত হয়নি।