ফের ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর

আপলোড সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০১:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০১:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ‘ফ্যাসিবাদের কোনও চিহ্ন না রাখার ঘোষণা দিয়ে’ নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ফের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। যদিও এ হামলার সময় ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের কোন সদস্য কিংবা কোনও নিকট আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েই বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতাকর্মীসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালান। যদিও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। সেদিন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। এরপর রাতের আঁধারে কিছু লোক সেই বাড়ির আবারও সংস্কার চালায়। সেখানে ভেঙে যাওয়া দরজা জানালা নতুন করে লাগায়। ছয় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদেরের পৈতৃক বাড়িতে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে আব্দুল কাদের মির্জার ঘরের ভেতরে অবশিষ্ট থাকা আসবাবপত্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওবায়দুল কাদেরের আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের বাড়িতেও আগুন জ্বালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জানান, পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচার হয়ে ওঠার পেছনে ওবায়দুল কাদের ও তার পরিবারের লোকজনের বড় ভূমিকা ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালীর সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম জানান, আগামীতেও যাতে কেউ আর স্বৈরাচার হতে না পারে আজকের দিনটি তাদের জন্য বিশেষ সংকেত। যতবারই স্বৈরাচার মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠবে ততবারই ছাত্র-জনতা তাদের স্বৈরাচারকে ধূলিসাৎ করবে। এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com