শামস শামীম ::
বোরো ফসল, মিঠাপানির মাছ ও জলজ জীববৈচিত্রের উপকারে পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম রেগুলেটর। হাওরে বিভিন্ন সময়ে ৫৭টি রেগুলেটর নির্মিত হয়েছে। পানির চাপের উপর ভিত্তি করে ১-৬ ভেন্ট পর্যন্ত রেগুলেটরগুলো নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ৫৭টির মধ্যে ১২টাই অচল। যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশন বন্ধ আছে। এর মধ্যে ৩৬টি সচল বলা হলেও সেগুলোও মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। হাওরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান রেগুলেটরগুলো অকার্যকর থাকায় বোরো মওসুমে পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির ঝুঁকি থাকে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এছাড়াও বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় মৎস্য সম্পদেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকরা রেগুলেটরগুলোর পানি নিষ্কাশনের পথ প্রশস্থসহ যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর বিভাগ-১) এর আওতায় মোট ৩৩টি রেগুলেটর রয়েছে। এর মধ্যে এই বিভাগের সম্পূর্ণ অচল আছে ৯টা। ২৩টা সচল আছে বলা হলেও এগুলোসহ ৩১টার সুফল পেতে হলে মেরামত করতে হবে। তাহিরপুরের বগিয়ানী-১ আহাম্মকখালী স্লুইস গেট, বিশ্বম্ভরপুরের পাইপ স্লুইস গেট, কৃষ্ণতলা পাইপ স্লুইসগেট, জামালগঞ্জের রাইঙ্গা ও বুরিডঙ্গা রেগুলেটর, ডালিয়া রেগুলেটর, বেহেলী রেগুলেটর ও ধর্মপাশার ধানকুনিয়া রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অচল আছে। একইভাবে পওর বিভাগ-২ এর অধীনে রেগুলেটর আছে ২৪টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ অচল আছে ৩টি। ৬টি অচল হওয়ার পথে। সচল ১৩টির মধ্যে ৬টিই মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। এই বিভাগের নলুয়ার হাওরের তিনটি রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত রেগুলেটরগুলোরই এই অবস্থা নয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসি নির্মিত বিভিন্ন হাওরের অধিকাংশ রেগুলেটরই অকেজো অবস্থায় আছে। কৃষকদের কোনও কাজে লাগছেনা এগুলো। সংস্কারেরও উদ্যোগ নেই। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরগুলো অচল থাকায় বোরো মওসুমে পানি নিষ্কাশনের সমস্যায় আছেন হাওরের কৃষকরা। বিশেষ করে অতিবৃষ্টি বা জলাবদ্ধতার সময় চারদিকে বাধ দেয়া থাকায় হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসল। এছাড়াও বর্ষায় মাছের চলাচলও বিঘিœত হচ্ছে একই কারণে। এতে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি বাড়ছে বলে জানান কৃষকরা। জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের হাওরটি জেলার অন্যতম বোরো ভা-ার। এই হাওরের তিনটা রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। এগুলো পানি নিষ্কাশন করতে পারছেনা। ফলে মওসুমে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির আশঙ্কাও আছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা দরকার। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, স্লুইসগেট হাওরের পানি নিষ্কাশনের সবচেয়ে পুরনো ও কার্যকর উপকরণ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এগুলোর কার্যকরে উন্নতি করা হয়নি। রেগুলেটরগুলোর পানি নিষ্কাশনের পথ প্রশস্থ করে নৌ চলাচলেও সুযোগ করে দিতে হবে। না হলে বর্ষায় রেগুলেটরের কাছে দেওয়া বাঁধ ভেঙে মানুষ নৌকার পথ তৈরি করে নেয়। যাতে রেগুলেটরের কার্যকারিতা থাকেনা। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, নতুন প্রকল্পে একাধিক পার্টের রেগুলেটর নির্মাণসহ সংস্কার ও মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গেছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে পানি নিষ্কাশন সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।
বোরো ফসল, মিঠাপানির মাছ ও জলজ জীববৈচিত্রের উপকারে পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম রেগুলেটর। হাওরে বিভিন্ন সময়ে ৫৭টি রেগুলেটর নির্মিত হয়েছে। পানির চাপের উপর ভিত্তি করে ১-৬ ভেন্ট পর্যন্ত রেগুলেটরগুলো নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ৫৭টির মধ্যে ১২টাই অচল। যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশন বন্ধ আছে। এর মধ্যে ৩৬টি সচল বলা হলেও সেগুলোও মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। হাওরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান রেগুলেটরগুলো অকার্যকর থাকায় বোরো মওসুমে পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির ঝুঁকি থাকে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এছাড়াও বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় মৎস্য সম্পদেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকরা রেগুলেটরগুলোর পানি নিষ্কাশনের পথ প্রশস্থসহ যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর বিভাগ-১) এর আওতায় মোট ৩৩টি রেগুলেটর রয়েছে। এর মধ্যে এই বিভাগের সম্পূর্ণ অচল আছে ৯টা। ২৩টা সচল আছে বলা হলেও এগুলোসহ ৩১টার সুফল পেতে হলে মেরামত করতে হবে। তাহিরপুরের বগিয়ানী-১ আহাম্মকখালী স্লুইস গেট, বিশ্বম্ভরপুরের পাইপ স্লুইস গেট, কৃষ্ণতলা পাইপ স্লুইসগেট, জামালগঞ্জের রাইঙ্গা ও বুরিডঙ্গা রেগুলেটর, ডালিয়া রেগুলেটর, বেহেলী রেগুলেটর ও ধর্মপাশার ধানকুনিয়া রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অচল আছে। একইভাবে পওর বিভাগ-২ এর অধীনে রেগুলেটর আছে ২৪টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ অচল আছে ৩টি। ৬টি অচল হওয়ার পথে। সচল ১৩টির মধ্যে ৬টিই মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। এই বিভাগের নলুয়ার হাওরের তিনটি রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত রেগুলেটরগুলোরই এই অবস্থা নয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসি নির্মিত বিভিন্ন হাওরের অধিকাংশ রেগুলেটরই অকেজো অবস্থায় আছে। কৃষকদের কোনও কাজে লাগছেনা এগুলো। সংস্কারেরও উদ্যোগ নেই। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরগুলো অচল থাকায় বোরো মওসুমে পানি নিষ্কাশনের সমস্যায় আছেন হাওরের কৃষকরা। বিশেষ করে অতিবৃষ্টি বা জলাবদ্ধতার সময় চারদিকে বাধ দেয়া থাকায় হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসল। এছাড়াও বর্ষায় মাছের চলাচলও বিঘিœত হচ্ছে একই কারণে। এতে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি বাড়ছে বলে জানান কৃষকরা। জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের হাওরটি জেলার অন্যতম বোরো ভা-ার। এই হাওরের তিনটা রেগুলেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। এগুলো পানি নিষ্কাশন করতে পারছেনা। ফলে মওসুমে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির আশঙ্কাও আছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা দরকার। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, স্লুইসগেট হাওরের পানি নিষ্কাশনের সবচেয়ে পুরনো ও কার্যকর উপকরণ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এগুলোর কার্যকরে উন্নতি করা হয়নি। রেগুলেটরগুলোর পানি নিষ্কাশনের পথ প্রশস্থ করে নৌ চলাচলেও সুযোগ করে দিতে হবে। না হলে বর্ষায় রেগুলেটরের কাছে দেওয়া বাঁধ ভেঙে মানুষ নৌকার পথ তৈরি করে নেয়। যাতে রেগুলেটরের কার্যকারিতা থাকেনা। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, নতুন প্রকল্পে একাধিক পার্টের রেগুলেটর নির্মাণসহ সংস্কার ও মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গেছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে পানি নিষ্কাশন সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।