![](https://sunamkantha.com/public/postimages/6799909453283.jpg)
দিরাই প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাফর সিদ্দিক বলেছেন, আমি যখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ছিলাম, সে সময়ে ২০০৬ সালে দেশের অসহায়, এতিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষ্যে, জামিল চৌধুরী হাওরের পাড়াগাঁয়ে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি নামে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন। কালের আবর্তে আজ একাডেমিটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। একাডেমির বিশাল ক্যাম্পাস, সুরম্য প্রসাদ ও মনোরম পরিবেশ সত্যিই আমাদের অভিভূত করেছে। একাডেমির শুরুতে আমি নিজ অবস্থান থেকে অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থী সংগ্রহসহ সার্বিক বিষয়ে জামিল চৌধুরীকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। একাডেমির এতিম মেয়ে শিক্ষার্থীর দেশ-বিদেশে লেখাপড়া ও খেলাধুলায় সফলতার গল্প শুনে সত্যিই আমি আনন্দিত। আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। আমি মনে করি একাডেমির সূচনালগ্নে আমার সহায়তা ও শ্রম স্বার্থক হয়েছে। তিনি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরীর প্রশংসা করে বলেন, চিত্তের সাথে বিত্তের অপূর্ব মিল রয়েছে বলেই জামিল চৌধুরী তার কষ্টার্জিত অর্থ এবং শ্রম মেধা দিয়ে হাওরের পাড়াগাঁয়েও এতিম অসহায় মেয়েদের জন্য এমন বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাডেমির উন্নয়ন সার্বিক সহায়তায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, জামিল চৌধুরীর এ মহতি কাজে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক দায়রা জজ ফাতেমা আলম শাহানা, দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, সাধারণ স¤পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, ডিএসএস প্রি-ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক শাহজাহান সিরাজ, সোহেলী আক্তার, কোহিনূর ইসলাম প্রমুখ।