
পথচারী::
কথা হচ্ছিল প্রযুক্তি নিয়ে। বিজ্ঞান কতদূর এগিয়েছে তা ভাবাই যায় না। আমরা এখন ঘরে বসেই অনেক কাজ করতে পারছি যা বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাদের সময়, অর্থ ও শ্রম। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, যানবাহনের টিকেট কাটা এ সকল বিষয় এখন অতিসাধারণ। অর্থ আদান-প্রদান কতো সহজ হয়েছে। আবার অর্থ চুরি করাটাও একরকম সহজ হয়েছে। সাইবার ক্রাইমের কথা আমরা বেশ কিছুদিন থেকে শুনে আসছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশাল অংকের রিজার্ভ চুরির কথা আমরা সবাই জানি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ ১৩জন কর্মকর্তার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে সম্ভব হলো এতো বড় অংকের এই অর্থ চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা? তাই প্রসঙ্গ আসে প্রযুক্তির। সেদিন অর্থাৎ ২০২৩ সালে একটি বিষয় আমরা জানতে পারি আর তা হল- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর কথা। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন একটি ঔষধের সন্ধান পেয়েছেন যা আটকে দিতে পারে মানুষের বয়সকে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং স্পেনের স্যান্টাল্ডারের একদল গবেষক এমন একটি ঔষধের সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। তারা সেনোলিটিক্স নামের এক ঔষধের পরিচয় পেয়েছেন যা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে থমকে যাবে মানুষের বয়স। বিষয়টি এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই রয়েছে। অনেক কিছুইতো সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। টাইপ-টু ডায়াবেটিস, কোভিড ১৯, পালসোনারি ফাইব্রোসিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সারসহ বহুমাত্রিক রোগের প্রতিষেধক এসেছে আমাদের হাতের নাগালে। একসময় তা ভাবাই যেতো না। শুধু ঔষধের বেলায়ই নয়, জীবনের নানা ক্ষেত্রে আমরা এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখছি। এই যে মোবাইলফোন তার ভেতর যত প্রকার অপশন আছে তা এখন আমাদের নৈমিত্তিক ব্যবহারের বিষয়। ধরা যাক রেডিও, তা আমরা আজকাল দেখছিনা। মানুষের ঘরে ঘরে একসময় বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই রেডিও। আজ তা হারিয়েই গেছে বলা যায়। এক সময় টিভি ছিল আরেকটি বিনোদনের মাধ্যম। এখন টিভি দেখাও অনেকটা কমে গেছে। একদিকে মানুষের ব্যস্ততা, তারপর আছে সময়ের অভাব। হাতে আজকাল ঘড়িও দেখা যায় না। ক্যামেরার ব্যবহার নেই বলা যায়। হাতের মোবাইলে চলে গেছে ক্যালকুলেটর, যানবাহনের সন্ধান, রাস্তার লোকেশন, ডাক্তারের খোঁজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়। এই সবই সম্ভব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির প্রচার-প্রসারের ফলে। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েই যাচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন লার্নিং সিস্টেম অনেক কাজ করে চলেছে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এমআরআই একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি যা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় নির্দেশ করে। প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে আমাদের ব্যবহৃত টাকায়ও নাকি ক্ষতিকর রোগী-জীবাণু থাকে। বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা জনাব কামাল কাদির একবার আইসিডিডিআরবিতে নমুনস্বরূপ কিছু মুদ্রা পাঠিয়েছিলেন পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, যা মাইক্রো অর্গানিজম নামে পরিচিত। এসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আমাদের অজান্তেই দেহের ক্ষতি করে চলেছে। আমরা তাতো বুঝতেই পারছি না। যদি তাই না হয়, তবে সুস্থ-সবল মানুষটি হঠাৎ করেই কেন অসুস্থ হয়ে যায়? এই যে আমরা হঠাৎ করেই সর্দি-জ্বর, ঠা-ায় আক্রান্ত হই, পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাতো আমাদের অজান্তে সচেতনতার অভাবেই হয়ে থাকে। এ জন্যই ডাক্তারেরা বলে থাকেন প্রত্যেকবার খাবারের আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে। মিডিয়াতে হাত ধোয়ার একটি বিজ্ঞাপন ঘন ঘন দেখা যায়- একটি শিশু বেসিনের সামনে ভালোভাবে কচলিয়ে হাত ধুচ্ছে। বিবিসি বাংলা একবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছিল যে, মানুষের মলে ‘ই-কোলাই’ জাতীয় এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, যা টাকায় পাওয়া গেছে। আমরা অহরহই টাকা হাত দিয়ে ধরে থাকি। তাই যদি সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার খাই তাহলে সেই ‘ই-কোলাই’ জাতীয় ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে আমাদের অজান্তেই শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই হাত ধুয়ে আমাদের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চালু হয় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতি বছর ২০ অক্টোবর সারাদেশে পালিত হয় এই দিনটি। যদিও ১৫ অক্টোবর মূল দিবস কিন্তু বাংলাদেশে তা পালিত হয় অক্টোবরে ২০ তারিখ। এই সচেতনতা আমাদেরকে শিখিয়েছে প্রযুক্তি। তথ্য-প্রযুক্তি তাই হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের অনুষঙ্গ।
কথা হচ্ছিল প্রযুক্তি নিয়ে। বিজ্ঞান কতদূর এগিয়েছে তা ভাবাই যায় না। আমরা এখন ঘরে বসেই অনেক কাজ করতে পারছি যা বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাদের সময়, অর্থ ও শ্রম। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, যানবাহনের টিকেট কাটা এ সকল বিষয় এখন অতিসাধারণ। অর্থ আদান-প্রদান কতো সহজ হয়েছে। আবার অর্থ চুরি করাটাও একরকম সহজ হয়েছে। সাইবার ক্রাইমের কথা আমরা বেশ কিছুদিন থেকে শুনে আসছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশাল অংকের রিজার্ভ চুরির কথা আমরা সবাই জানি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ ১৩জন কর্মকর্তার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে সম্ভব হলো এতো বড় অংকের এই অর্থ চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা? তাই প্রসঙ্গ আসে প্রযুক্তির। সেদিন অর্থাৎ ২০২৩ সালে একটি বিষয় আমরা জানতে পারি আর তা হল- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর কথা। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন একটি ঔষধের সন্ধান পেয়েছেন যা আটকে দিতে পারে মানুষের বয়সকে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং স্পেনের স্যান্টাল্ডারের একদল গবেষক এমন একটি ঔষধের সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। তারা সেনোলিটিক্স নামের এক ঔষধের পরিচয় পেয়েছেন যা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে থমকে যাবে মানুষের বয়স। বিষয়টি এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই রয়েছে। অনেক কিছুইতো সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। টাইপ-টু ডায়াবেটিস, কোভিড ১৯, পালসোনারি ফাইব্রোসিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সারসহ বহুমাত্রিক রোগের প্রতিষেধক এসেছে আমাদের হাতের নাগালে। একসময় তা ভাবাই যেতো না। শুধু ঔষধের বেলায়ই নয়, জীবনের নানা ক্ষেত্রে আমরা এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখছি। এই যে মোবাইলফোন তার ভেতর যত প্রকার অপশন আছে তা এখন আমাদের নৈমিত্তিক ব্যবহারের বিষয়। ধরা যাক রেডিও, তা আমরা আজকাল দেখছিনা। মানুষের ঘরে ঘরে একসময় বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই রেডিও। আজ তা হারিয়েই গেছে বলা যায়। এক সময় টিভি ছিল আরেকটি বিনোদনের মাধ্যম। এখন টিভি দেখাও অনেকটা কমে গেছে। একদিকে মানুষের ব্যস্ততা, তারপর আছে সময়ের অভাব। হাতে আজকাল ঘড়িও দেখা যায় না। ক্যামেরার ব্যবহার নেই বলা যায়। হাতের মোবাইলে চলে গেছে ক্যালকুলেটর, যানবাহনের সন্ধান, রাস্তার লোকেশন, ডাক্তারের খোঁজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়। এই সবই সম্ভব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির প্রচার-প্রসারের ফলে। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েই যাচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন লার্নিং সিস্টেম অনেক কাজ করে চলেছে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এমআরআই একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি যা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় নির্দেশ করে। প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে আমাদের ব্যবহৃত টাকায়ও নাকি ক্ষতিকর রোগী-জীবাণু থাকে। বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা জনাব কামাল কাদির একবার আইসিডিডিআরবিতে নমুনস্বরূপ কিছু মুদ্রা পাঠিয়েছিলেন পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, যা মাইক্রো অর্গানিজম নামে পরিচিত। এসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আমাদের অজান্তেই দেহের ক্ষতি করে চলেছে। আমরা তাতো বুঝতেই পারছি না। যদি তাই না হয়, তবে সুস্থ-সবল মানুষটি হঠাৎ করেই কেন অসুস্থ হয়ে যায়? এই যে আমরা হঠাৎ করেই সর্দি-জ্বর, ঠা-ায় আক্রান্ত হই, পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাতো আমাদের অজান্তে সচেতনতার অভাবেই হয়ে থাকে। এ জন্যই ডাক্তারেরা বলে থাকেন প্রত্যেকবার খাবারের আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে। মিডিয়াতে হাত ধোয়ার একটি বিজ্ঞাপন ঘন ঘন দেখা যায়- একটি শিশু বেসিনের সামনে ভালোভাবে কচলিয়ে হাত ধুচ্ছে। বিবিসি বাংলা একবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছিল যে, মানুষের মলে ‘ই-কোলাই’ জাতীয় এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, যা টাকায় পাওয়া গেছে। আমরা অহরহই টাকা হাত দিয়ে ধরে থাকি। তাই যদি সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার খাই তাহলে সেই ‘ই-কোলাই’ জাতীয় ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে আমাদের অজান্তেই শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই হাত ধুয়ে আমাদের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চালু হয় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতি বছর ২০ অক্টোবর সারাদেশে পালিত হয় এই দিনটি। যদিও ১৫ অক্টোবর মূল দিবস কিন্তু বাংলাদেশে তা পালিত হয় অক্টোবরে ২০ তারিখ। এই সচেতনতা আমাদেরকে শিখিয়েছে প্রযুক্তি। তথ্য-প্রযুক্তি তাই হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের অনুষঙ্গ।