
বাঁধ নির্মাণে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, সংবাদে প্রকাশ যে, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিনভর জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওর ও পাগনার হাওরের বিভিন্ন ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তখন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের তিনি জবাব দেন। এ সময় প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেছেন যে, সুনামগঞ্জের বোরো ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোনও ধরণের অনিয়ম কিংবা গাফিলতি সহ্য করা হবে না, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আমরা সময়মতো ও যথাযথভাবে বাঁধনির্মাণের কাজে সর্ববস্থায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে আছি এবং তাঁকে সমর্থন করি। ‘বাঁধ নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা’ এবং ‘বাঁধ নির্মাণকাজে কোনও ধরণের অনিয়ম-গাফিলতি সহ্য করা হবে না’ মর্মে প্রত্যয় ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে রীতিমাফিক এবংবিধ প্রত্যয় ঘোষণা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এমনটা হয়েই থাকে এবং প্রায়শ শেষাবধি নির্মম প্রহসনে পর্যবসিত হয়। তখন কারও কীছু করার থাকে না, জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে।
২০১৭ সালের প্রলয়ঙ্করী ঢলে শতভাগ ফসলডুবির পর ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক হয়ে আসেন সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাঁধের কাজ সে-বছর বলতে গেলে কোনও রকম গাফিলতি ব্যতিরেকে শতভাগ সম্পন্ন হয়েছিল। তিনি রাতকে দিন করে প্রতিটি বাঁধে গিয়ে কাজ তদারকি করেছিলেন ও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন যে, চেষ্টা করলে অসাধ্যকে সাধন করতে শত বাধা অতিক্রম করা মানুষের পক্ষে কোনও ব্যাপারই নয়। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁর প্রশাসনের সকল কর্মকর্তারা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কিছু জননিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ। এজন্য তিনি সুনামগঞ্জের ইতিহাসে একজন জননন্দিত জনদরদি জেলা প্রশাসক হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছেন এবং থাকবেন।