
স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। পাগনার হাওরের গজারিয়া ও ঢালিয়া নামে দুটি খাল অধিক মাত্রায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে হাওরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এমন খবর পেয়ে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) পাগনার হাওর ও গজারিয়া স্লুইস গেইট এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। এসময় স্থানীয় কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে গজারিয়া খাল খনন করার দাবি জানালে জেলা প্রশাসক কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে ও হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন করার উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এসময় খাল খনন করে হাওরের পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জনি প্রমুখ। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার পাগনার হাওরের সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ লাখ ৩০ হাজার মণ। যার বাজারমূল্য ১৬৬ কোটি টাকারও বেশি। এদিকে পাগনার হাওরের পানি নিষ্কাশনের দুটি খালসহ ভিতরের খালগুলো খননে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। পাগনার হাওর পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ন্যাচারালি পাগনার হাওর থেকে পানি নেমে যাবে। যেহেতু পানি নামেনি তাই সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম গজারিয়া স্লুইস গেইটের এক কিলোমিটার অংশে খালটা ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে হাওর থেকে পানি নামছে না। আর এতে করে হাওরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণ জানিয়েছিলেন তাদের ৩ লাখ টাকা দিলে খালটা খনন করতে পারবেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা তাদেরকে ৩ লাখ টাকা দিব খাল খনন করার জন্য। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই স্থানীয়রা খাল খননের আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন খালটা খনন করলে সাড়ে ৭শ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করতে পারবেন। কৃষকের দাবির প্রেক্ষিতে আমরাও এই কাজটা করতে চাই। যাতে করে পাগনার হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন হয়।