
তানভীর আহমেদ :: জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, সুনামগঞ্জের বোরো ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা গাফিলতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিনভর জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওর ও পাগনার হাওরের বিভিন্ন ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ওইদিন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত ৬, ৩৯ ও ৪০ নং প্রকল্পের বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ এবং মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও গজারিয়া স্লুইস গেইট ও বুগলার খাল পরিদর্শন করেন। এসময় জামালগঞ্জের দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জনি জানিয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলায় বাঁধের মাটি ফেলার কাজ প্রায় ৪৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, বাঁধ নির্মাণকাজে শুধুমাত্র মাটি ফেলে দায়সারা কাজ করলেই হবে না। মাটি কমপেকশন, স্লোপসহ গুণগতমান বজায় রেখে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে বাঁধের কাজের সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যাঁরা পিআইসির দায়িত্ব নিয়েছেন তারা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থাৎ নির্ধারিত যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই সময়ের মধ্যেই তারা বাঁধের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করবেন। নির্ধারিত সময়ের পর অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির পর বাঁধের যে অংশের কাজ বাকি থাকবে সেই অংশের কাজের জন্য কোনো ধরনের টাকা দেয়া হবে না, উল্টো তাদেরকে (পিআইসিদের) জরিমানা করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর, পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জনি, জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কায়সার আহমেদ প্রমুখ।