পথচারী
এক অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে চলছে বাংলাদেশ। দেশপ্রেমিক মানুষের বড়ই অভাব এদেশে। সর্বশেষ দেশপ্রেমিক মানুষ শেখ হাসিনার দেশপ্রেম নিয়েই কথা বলি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। এমনকি তার দেশপ্রেম নিয়েও না। অথচ এমনটি হঠাৎ করে ঘটল কেন? শেখ হাসিনার এমন কি হয়েছিল যে, এমন গোপনীয়তার সাথে তাকে পলায়ন করতে হবে? তার পিতার নির্মমভাবে হত্যা হয়েছিল - একথা সত্য। শেখ হাসিনার ভাগ্য ভাল যে নিজের হাতে তার পিতার হত্যাকান্ডের বিচার তিনি করতে পেরেছিলেন। এ পর্যন্ত ভাল ছিল। এখানেই তিনি থেমে থাকতে পারতেন। কিন্তু তাকে পেয়ে বসেছিল ক্ষমতার লোভ এবং একই সাথে টাকার লোভ। ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিলেন বিরোধী দল ছাড়াই। তাতে তার বিবেক সাড়া দেয়নি। ২০১৮ সালে এসে কি ঘটলো? বিরোধী দলকে ডেকে এনে নির্বাচন করলেন, কিন্তু এভাবে কেন? দিনের ভোট রাতে হলো? কারণ তার মনে বিশ্বাসের অভাব ছিল প্রচ-। প্রকাশ্যে তিনি দেখাচ্ছেন যে, তিনি দেশের উন্নয়ন করছেন। ভালো কথা। দেশ ও দশের উন্নয়ন করলে তা যদি মানুষ বুঝে যায় তবে তো আর কোনো কথাই থাকে না। কিন্তু তা-ও না। তার গোয়েন্দা সংস্থা এবং দলের লোকেরা ধারণা করতে পারছিল যে, নিরপেক্ষ ভোট হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ ক্ষমতায় আসা চাই যেকোনোভাবেই। কিন্তু, এ ধারণাটা ইতিহাসে কতজনকে যে রসাতলে নিয়েছে তা একটি বার হলেও ভাবা উচিত ছিল শেখ হাসিনাকে। দলের নেতাকর্মীদের লাগাম টানা উচিত ছিল শক্ত হাতে, তা তিনি করতে ব্যর্থ হন। দুর্নীতি বন্ধের দিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া উচিত ছিল। প্রকাশ্যে এমন দুর্নীতি মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্বিকার ছিলেন। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছিল প্রকাশ্যে। তিনি সেদিকে নজর দেননি কেন? কাছের লোক সালমান এফ রহমানের মতো লোকেরা যেভাবে অর্থ লোপাট করছিল সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত ছিল না? মানুষের বাক স্বাধীনতাকে কেন রুদ্ধ করা হয়েছিল। কথা বলতে দেওয়া হয়নি মিডিয়াকে, কিন্তু কেন? বিরোধী দলকে এমন শক্ত হাতে নিপীড়ন খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ¬¬¬রিজার্ভ চুরির বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া ঠিক হয়নি শেখ হাসিনার। এটিতো জনগণের টাকা। এই রিজার্ভ কিভাবে হ্যাকিং হলো তাতো সরকার ভালোভাবেই জানে। বরং জড়িত ব্যাংকের বড় কর্মকর্তারাই। এই অর্থের পরিমাণ সামান্য নয় অর্থাৎ ৮ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার। চুরির ২৪৪ দিন পর জানতে পারে বাংলাদেশের মানুষ। বিগত প্রায় আট বছর ধরে শুধু এর তদন্তই চলছে। কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। এটি একটি সাধারণ ঘটনা। এরকম আরও প্রচুর ঘটনা ঘটেছে সে সময়। অথচ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েও কোন পদক্ষেপ নেননি এ বিষয়ে। এ সকল ঘটনা দেশের মানুষ জানার পরও অপেক্ষায় থেকেছে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রসঙ্গে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছিল। অথচ এসকল বিষয়কে ধামাচাপা দিতে গ্রহণ করা হচ্ছিল মেগা মেগা সব প্রকল্প। ঐ সকল প্রকল্প থেকেও লোপাট করা হচ্ছিল হাজার হাজার কোটি টাকা। গুচ্ছ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা ভাতা, সর্বজনীন পেনশন, মেট্রোরেল, উড়াল সেতু ইত্যাদি মেগা প্রকল্প দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল প্রতিদিন। সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল কঠোরভাবে সাইবার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে। মোটকথা সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিল শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থা। তার প্রমাণ আমরা পাই ৫ আগস্টের (২০২৪) গণঅভ্যুত্থানে। কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এমন ভয়ংকর দেশত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভাবছিলেন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ নির্বাচনকে যেভাবে প্রতিহত করেছিলেন ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনও এভাবেই নস্যাৎ হয়ে যাবে। পদত্যাগের একদফা দাবিকে যদি তিনি মেনে নিতেন তাহলেও তাকে এমন দুর্ভাগ্য মেনে নিতে হতো না। ক্ষমতার লোভ, অর্থের লোভ তাকে পেয়ে বসেছিল। তাই দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলো এমন লজ্জাজনক দেশত্যাগকে। তারপরও তিনি বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন তা-ও ভালোভাবে মেনে নেয়নি দেশের মানুষ। ভারতকে যেভাবে তিনি দেশের বিরোধিতায় লেলিয়ে দিয়েছেন তা-কি তাকে শেষ রক্ষা করতে পারবে? ভারতীয় সাংবাদিক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষের মত লোকেরা কি শেখ হাসিনাকে শেষ রক্ষা করতে পারবে? দেশের মানুষের সামনে কোন মুখে আবার তিনি ভোট চাইতে আসবেন? অস্থির সময় অবশ্যই থাকবে না, প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র, কিন্তু শেখ হাসিনার কলঙ্ক কি দূর হবে সহজে?
এক অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে চলছে বাংলাদেশ। দেশপ্রেমিক মানুষের বড়ই অভাব এদেশে। সর্বশেষ দেশপ্রেমিক মানুষ শেখ হাসিনার দেশপ্রেম নিয়েই কথা বলি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। এমনকি তার দেশপ্রেম নিয়েও না। অথচ এমনটি হঠাৎ করে ঘটল কেন? শেখ হাসিনার এমন কি হয়েছিল যে, এমন গোপনীয়তার সাথে তাকে পলায়ন করতে হবে? তার পিতার নির্মমভাবে হত্যা হয়েছিল - একথা সত্য। শেখ হাসিনার ভাগ্য ভাল যে নিজের হাতে তার পিতার হত্যাকান্ডের বিচার তিনি করতে পেরেছিলেন। এ পর্যন্ত ভাল ছিল। এখানেই তিনি থেমে থাকতে পারতেন। কিন্তু তাকে পেয়ে বসেছিল ক্ষমতার লোভ এবং একই সাথে টাকার লোভ। ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিলেন বিরোধী দল ছাড়াই। তাতে তার বিবেক সাড়া দেয়নি। ২০১৮ সালে এসে কি ঘটলো? বিরোধী দলকে ডেকে এনে নির্বাচন করলেন, কিন্তু এভাবে কেন? দিনের ভোট রাতে হলো? কারণ তার মনে বিশ্বাসের অভাব ছিল প্রচ-। প্রকাশ্যে তিনি দেখাচ্ছেন যে, তিনি দেশের উন্নয়ন করছেন। ভালো কথা। দেশ ও দশের উন্নয়ন করলে তা যদি মানুষ বুঝে যায় তবে তো আর কোনো কথাই থাকে না। কিন্তু তা-ও না। তার গোয়েন্দা সংস্থা এবং দলের লোকেরা ধারণা করতে পারছিল যে, নিরপেক্ষ ভোট হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ ক্ষমতায় আসা চাই যেকোনোভাবেই। কিন্তু, এ ধারণাটা ইতিহাসে কতজনকে যে রসাতলে নিয়েছে তা একটি বার হলেও ভাবা উচিত ছিল শেখ হাসিনাকে। দলের নেতাকর্মীদের লাগাম টানা উচিত ছিল শক্ত হাতে, তা তিনি করতে ব্যর্থ হন। দুর্নীতি বন্ধের দিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া উচিত ছিল। প্রকাশ্যে এমন দুর্নীতি মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্বিকার ছিলেন। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছিল প্রকাশ্যে। তিনি সেদিকে নজর দেননি কেন? কাছের লোক সালমান এফ রহমানের মতো লোকেরা যেভাবে অর্থ লোপাট করছিল সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত ছিল না? মানুষের বাক স্বাধীনতাকে কেন রুদ্ধ করা হয়েছিল। কথা বলতে দেওয়া হয়নি মিডিয়াকে, কিন্তু কেন? বিরোধী দলকে এমন শক্ত হাতে নিপীড়ন খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ¬¬¬রিজার্ভ চুরির বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া ঠিক হয়নি শেখ হাসিনার। এটিতো জনগণের টাকা। এই রিজার্ভ কিভাবে হ্যাকিং হলো তাতো সরকার ভালোভাবেই জানে। বরং জড়িত ব্যাংকের বড় কর্মকর্তারাই। এই অর্থের পরিমাণ সামান্য নয় অর্থাৎ ৮ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার। চুরির ২৪৪ দিন পর জানতে পারে বাংলাদেশের মানুষ। বিগত প্রায় আট বছর ধরে শুধু এর তদন্তই চলছে। কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। এটি একটি সাধারণ ঘটনা। এরকম আরও প্রচুর ঘটনা ঘটেছে সে সময়। অথচ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েও কোন পদক্ষেপ নেননি এ বিষয়ে। এ সকল ঘটনা দেশের মানুষ জানার পরও অপেক্ষায় থেকেছে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রসঙ্গে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছিল। অথচ এসকল বিষয়কে ধামাচাপা দিতে গ্রহণ করা হচ্ছিল মেগা মেগা সব প্রকল্প। ঐ সকল প্রকল্প থেকেও লোপাট করা হচ্ছিল হাজার হাজার কোটি টাকা। গুচ্ছ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা ভাতা, সর্বজনীন পেনশন, মেট্রোরেল, উড়াল সেতু ইত্যাদি মেগা প্রকল্প দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল প্রতিদিন। সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল কঠোরভাবে সাইবার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে। মোটকথা সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিল শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থা। তার প্রমাণ আমরা পাই ৫ আগস্টের (২০২৪) গণঅভ্যুত্থানে। কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এমন ভয়ংকর দেশত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভাবছিলেন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ নির্বাচনকে যেভাবে প্রতিহত করেছিলেন ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনও এভাবেই নস্যাৎ হয়ে যাবে। পদত্যাগের একদফা দাবিকে যদি তিনি মেনে নিতেন তাহলেও তাকে এমন দুর্ভাগ্য মেনে নিতে হতো না। ক্ষমতার লোভ, অর্থের লোভ তাকে পেয়ে বসেছিল। তাই দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলো এমন লজ্জাজনক দেশত্যাগকে। তারপরও তিনি বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন তা-ও ভালোভাবে মেনে নেয়নি দেশের মানুষ। ভারতকে যেভাবে তিনি দেশের বিরোধিতায় লেলিয়ে দিয়েছেন তা-কি তাকে শেষ রক্ষা করতে পারবে? ভারতীয় সাংবাদিক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষের মত লোকেরা কি শেখ হাসিনাকে শেষ রক্ষা করতে পারবে? দেশের মানুষের সামনে কোন মুখে আবার তিনি ভোট চাইতে আসবেন? অস্থির সময় অবশ্যই থাকবে না, প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র, কিন্তু শেখ হাসিনার কলঙ্ক কি দূর হবে সহজে?