মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ:: জামালগঞ্জে তরুণকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিহত আকরাম হোসেনের (১৭) বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ. ম কামাল হোসেইন জানান, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আশা করছি খুব শিগগিরই রহস্য উদঘাটন হবে এবং দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে। গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টা থেকে ১২ টার মধ্যে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রাজাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উড়ার বিল সংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, নিহত আকরাম হোসেন সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুরের কুতুবপুর নামক এলাকায় তার বাবা-মা ভাইবোনের সাথে একটি ভাড়া বাসায় থেকে অটো রিকসা চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে। ঘটনার দিন শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার পর উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রাজাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উড়ার বিল সংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে অর্ধ গলা কেটে ও মুখ হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ধানের জমিতে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় অটোরিকসা চালক আলাউদ্দিন ওই মুহূর্তে সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে আকরাম হোসেনের ব্যাটারি চালিত গাড়ি ও ধানের জমিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিৎকার শুনতে পান। পরে আলাউদ্দিন জামালগঞ্জ থানায় জানিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই আকরাম হোসেনের পরিবারের সহযোগিতায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার ভোর ৭টার দিকে আকরাম হোসেনের মৃত্যু হলে সিলেট কোতোয়ালী থানা অধীনে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার আ.ফ. ম আনোয়ার হোসেন খান, পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।