জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জে চলতি বছরের কাবিটা বাস্তবায়ন, স্কীম ও মনিটরিং কমিটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী সুরমা ও বৌলাই নদীর তীরবর্তী হালি, মহালিয়া ও শনির হাওরের ১ থেকে ২৪ পর্যন্ত অধিকাংশ পিআইসি’র কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে পিআইসির সভাপতি ও সদস্যদেরকে বাঁধের কাজ দ্রুত পরিচালনার জন্য নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
দেখা যায় কোন কোন পিআইসির ক্লোজার দিয়ে হাওর থেকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। মাটি উত্তোলন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা মনিটরিং কমিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। বৌলাই নদীর তীরবর্তী কয়েকটি স্থানে নতুনভাবে ভাঙ্গন ও ধসের দৃশ্য দেখা দেয়ায় এর বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবোর প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুন নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর, সদস্য সচিব পাউবো’র উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জনি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা, মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, মো. আব্দুর রব, মো. আব্দুল মালেক, শাহ মোহাম্মদ শাজাহান, সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুক মিয়া, উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া, বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল আবেদীন, জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জামালগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ স¤পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এদিকে বৌলাই নদীতে তিনটি স্পটে জাল দিয়ে তৈরি স্থায়ী বাঁধ উচ্ছেদ, ২৩টি চায়না দুয়ারী ও ২০টি কারেন্ট জাল পুড়ানো হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা।