সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে এবং আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। এই ‘প্রভাব পড়বে না’র নিহিতার্থ হলো জনগণের জীবন নির্বাহের ব্যয়ভার বাড়বে না, অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম সহনীয় মাত্রায় স্থিতিশীল থাকবে। অর্থাৎ আশা করতে হবে যে, চাল-ডাল-তেল-নুন ইত্যাদিসহ মাছ-মাংস-সবজির দাম বাড়বে না। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি বজায় থাকেল মূল্যস্ফীতির আবির্ভাব অনিবার্য একটি আর্থনীতিক ক্রিয়া থামানো যায় না কীছুতেই এবং বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে মুদ্রাস্ফীতির অনিবার্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ মূল্যবৃদ্ধি উত্তরোত্তর ঘটেই চলেছে বছরের পর বছর থেকে। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞমহলের ধারণা, ‘প্রভাব পড়বে না’র আশ্বাসের আমেজটুকু মুক্তবাজার অর্থনীতির অধিক লাভের লোভের কেরদারিসমার গুণে শেষ পর্যন্ত কর্পূরের মতো উবে যাবে। আমরা মনে করি অর্থনীতিতে স্থিতিশীল স্বস্তি আনয়নের লক্ষ্যে অন্য কোনও বিকল্প সন্ধান করা বর্তমান ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের জন্য অধিক কল্যাণকর হবে। ভুলে গেলে চলবে না, ইতোমধ্যে চতুর্মুখি সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে খর্ব করতে শুরু করেছে। তাছাড়া জীবন নির্বাহের খরচ বাড়লে জনগণের জীবনের স্বস্তি থাকে না, সে বিষয়টি উপেক্ষা করাও সরকারে পক্ষে সমীচীন বলে মনে করছেন না কৃষক-শ্রমিক নিম্নবিত্ত মেহনতি মানুষজনেরা। কারণ ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে তারাই বেশি করে ভোগান্তিতে পড়বেন।