দোয়ারাবাজারে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা বালু দিয়ে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খাসিয়ামারা নদীর বামতীরে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করলে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় কৃষকগণ এর প্রতিবাদ করেন। এনিয়ে ১০ জানুয়ারি দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১৪নং পিআইসি খাসিয়ামারা নদীর বাম তীরের ৫৮ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও পুনরাকৃতকরণ কাজ নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ ২২ হাজার টাকা। শুরুতেই ধুলো মিশ্রিত বালু দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্মাণ কাজ যদিও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে কিন্তু পিআইসির লোকজনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। বাঁধের উপর মাটির প্রলেপ দিয়ে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। বৃষ্টি অথবা পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে ফসল সুরক্ষা করা সম্ভব হবে না। আরও অভিযোগ রয়েছে পিআইসি নীতিমালা না মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পিআইসি গঠন করেছেন। যাদেরকে নিয়ে পিআইসি গঠন করা হয়েছে বাঁধের পাশে তাদের অনেকেরই জমি নেই। খাসিয়ামারা নদীর বাম তীরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় পাউবো কর্তাদের যোগসাজশে পিআইসির অন্তরালে থাকা প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। পাউবোর এসও সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বালুর বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান বালুর বাঁধ নির্মাণ হলে বাঁধের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পিআইসি বাতিল করা হবে।
আমাদের কথা হচ্ছে, সময়মত ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করলে এবং পিআইসি বাতিল করে কৃষকের লাভ এই বা কি হবে? সময় ক্ষেপণ করলে যেকোনো সময় পাহাড়ি ঢল নেমে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে না। সুতরাং পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরনের নয়ছয়ে আমরা বিশ্বাসী নই। জরুরি ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শুরুতেই সংশ্লিষ্ট বাঁধে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু হয়েছে তাতে যদি কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে না পারে তার দায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।