মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
স্মৃতিচারণ, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ, আলোচনা, আনন্দ র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুক্রবার শিক্ষা প্রতিণ্ঠানটির চত্বরে উদযাপিত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আড্ডা, হৈ হুল্লুর, ভাববিনিময় ও আনন্দে মেতে উঠার পাশাপাশি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন অনুষ্ঠানে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
১৯২০ সালে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তৎকালীন জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার ১০৪বছর পর এটিই প্রাক্তন শিক্ষাক-শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিল ‘ডাক দিয়েছে আপন প্রান্তর, এসো মিলি প্রাণে প্রাণে’।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এর আগে বোলা সোয়া ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক থেকে এক আনন্দ র্যালি বের হয়।
শতবর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শতবর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বসন্ত কুমার বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন বাবুর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গোলাম হায়দার, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. রমা বিজয় সরকার, পুলিশ সুপার আ. ফ .ম আনোয়ার হোসেন খান, মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায়, মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ বিজন কুমার তালুকদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আমি নিজেও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছি। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বন্ধনের জন্য অ্যালামনাই গঠন করা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করি। আমার পক্ষে প্রতিষ্ঠানের জন্য যা যা করণীয় তাই করতে আমি চেষ্টা করব।
এর আগে তিনি পাশের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের দশধরী-দুধবহর গ্রামের মধ্যবর্তী ডা. রফিক চৌধুরী হাইস্কুল ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন।