জামালগঞ্জ উপজেলায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ১২৬টি বিদ্যালয়ের জন্য ব্যানার তৈরির নামে বাণিজ্য করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এনিয়ে গত ৮ জানুয়ারি দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আগ্রহে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর সহযোগিতায় নতুন বছরের শুরুতে মাসব্যাপী জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। এনিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সরকারের তারুণ্য উৎসব-২০২৫ কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং পর্যন্ত জাতীয় কর্মসূচি চলমান থাকার কথা রয়েছে। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ‘আমার স্কুল, পরিচ্ছন্ন স্কুল’ শিরোনামে ‘ব্যানার’ প্রদর্শনপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ২০২৪’ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কার্যক্রমসহ নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। উপজেলার স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ তাদের বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত স্লিপ ফান্ডের অর্থ থেকে ব্যানার তৈরি করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু জামালগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে কোনো শিক্ষককে না জানিয়ে উপজেলার ১২৬টি বিদ্যালয়ের জন্য নিজেই তৈরি করেছেন ব্যানার। তাঁর প্রতিটি ব্যানার তৈরিতে সর্বোচ্চ খরচ হয়েছে ৩শত টাকা। কিন্তু তিনি প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্যানার প্রতি ৪শ থেকে সাড়ে চারশ টাকা আদায় করছেন। যা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ভয়ে মুখ খুলতে চান না অনেক শিক্ষকরা।
আমরা মনে করে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা কোনোভাবেই এসব ব্যানার তৈরি করতে পারেন না। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে তারুণ্যের উৎসবে স্ব স্ব বিদ্যালয় তাদের স্লিপের বরাদ্দ থেকে ব্যানারসহ আনুষাঙ্গিক সকল খরচ বহন করবে। কিন্তু ঐ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যানার তৈরি করে যে বাণিজ্যের সৃষ্টি করেছেন তা শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এধরনের কার্যক্রম যদি চলতে থাকে তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হবে। শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কান্ডে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। আমরা মনে করি, শিক্ষা কর্মকর্তার এমন বাণিজ্য লজ্জাজনক। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।