সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সংবিধান কারও বাপের না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার দুপুরে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পৃথক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তারা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের পোস্টে বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে ভোট পেয়েছিলেন। বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেয়া হতো, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।
তারা বলেন, যে কমিটি এই ৭২-এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন। না, মানে মনে করাই দিলাম।
বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘কবর দেওয়ার’ কথা গ্রহণযোগ্য নয়- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানদের এমন বিবৃতির একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেন তারা দুজন।
এর আগে গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানেরা জানিয়েছেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘ছুড়ে ফেলে দেয়া’ বা ‘কবর দেয়া’র মতো কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কথা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সংবিধান প্রণয়নের সাথে যুক্ত মানুষদের সর্বোপরি দেশের জনসাধারণকে অবজ্ঞা করার শামিল। বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।