স্টাফ রিপোর্টার ::
“নূরুল হক মহাজন ছিলেন গরিবের অন্তরের মহাজন। তাঁর কাছে কোনো বিভেদ ছিল না। অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি। আমরা আমাদের অভিভাবক হারিয়েছি। এমন মানুষ আর পাবো না।”
এভাবেই আবেগতাড়িতভাবে আক্ষেপ জানাচ্ছিলেন গৌরারং ইউনিয়নের নুরুল্লাহ গ্রামের মো. রহিম বকস নামের এক বৃদ্ধ। শেষবারের মতো বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল হককে দেখতে এসেছিলেন তিনি।
রহিম বকস বলেন, তিনি ছিলেন অসহায় মানুষের প্রকৃত বন্ধু। গরিব-অসহায় মানুষ তাঁর কাছে বিচার পেত। তিনি সৎ মানুষ ছিলেন। এলাকার সব মানুষ তাঁকে পছন্দ করে।
ওয়েজখালি গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, তিনি সকল নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর কাছে হিন্দু-মুসলিম কোনো বিভেদ ছিলো না। সবাই ছিল তার কাছে সমান। দান-দক্ষিণায় তাঁর হাত ছিল প্রসারিত। মহাজন সাহেবের কাছে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে আসেনি। তাঁর ভালো মানুষ আর হয় না।
পৌর শহরের তেঘরিয়ার বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেন বলেন, শহরের একজন অভিভাবক ছিলেন তিনি। আমরা বিপদে-আপদে তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছি। তিনি আমাদের ভরসার জায়গা ছিলেন। মহান রব তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামছুল হক বলেন, নূরুল হক সাহেব ছিলেন একজন পরিশ্রমী এবং সৎ মানুষ। তিনি আমার স্বজন। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁর জীবনাচার। তিনি নীরবে দান করতে পছন্দ করতেন। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।