স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ ব্যক্তি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল হক (মহাজন) আর বেঁচে নেই। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত নূরুল হকের নাতি তাসিন হক জানান, দাদাভাই দীর্ঘদিন ধরেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বুধবার দুপুরে তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলেগেছেন। দাদার জন্য জেলাবাসীর কাছে দোয়া চাই। মহান রব যেন দাদাকে জান্নাতের বাসিন্দা করেন।
সুনামগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সালিশি ব্যক্তিত্ব নূরুল হক সকলের কাছে নূরুল মহাজন নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। সমাজসেবা এবং শিক্ষাবিস্তারে তিনি অবদান রেখেছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রেজাউল হক ও দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সম্পাদকম-লীর সভাপতি জিয়াউল হক-এর পিতা নূরুল হক মহাজন একজন মহৎপ্রাণ মানুষ ছিলেন। দানবীর হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে।
তাঁর মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে শেষবারের মতো একবার দেখতে শহরের পশ্চিম হাজীপাড়াস্থ তাঁর বাসভবনে ছুটে যান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। অশ্রুসিক্ত নয়নে মানুষজন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। অনেকে নীরবে চোখের জল ফেলেন।
আজ বৃহ¯পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় পৌর শহরের তেঘরিয়া লক্ষণশ্রী ঈদগাহ ময়দানে নূরুল হক (মহাজন)-এর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গাজীর দরগাহ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল হক মহাজনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিগণ। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।