জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সুপেয় পানি পেতে বিগত সরকার হস্তচালিত অগভীর নলকূপ থেকে পানি পেতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও অনুপযোগী পরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো ভেস্তে গেছে। গত ৫ জানুয়ারি এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সুনামকণ্ঠে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানাযায়, অপরিকল্পিতভাবে নলকূপগুলো বসানো হয়েছে। অন্যদিকে তাপপ্রবাহ, অনাবৃষ্টি, নদী নালা ও খাল বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় নিচে নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে একে একে অকেজো হয়ে যাচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক হস্তচালিত নলকূপ। শুষ্ক মওসুমে জেলার সরকারি বেসরকারি লক্ষাধিক নলকূপে পানি না উঠায় পানির অভাব মেটাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। যদিও সমতল এলাকায় বর্ষাকালে নলকূপে পানির যোগান অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও পাহাড়ি এলাকায় পানির সংকট লেগেই থাকে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুরসহ প্রায় সব উপজেলায় হস্তচালিত নলকূপের একই দশা। ফলে বিশুদ্ধ পানির জন্য ভরসা করতে হয় গভীর নলকূপের উপর।
জানাগেছে, জেলার ১২ উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে হস্তচালিত নলকূপ সচল রয়েছে ২৩ হাজার ৫৬৫ টি, এছাড়াও বেসরকারি পযার্য়ে জেলায় লক্ষাধিক নলকূপ রয়েছে। এগুলোতে শুষ্ক মওসুমে পানি না উঠায় অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। বিগত সরকার শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত অর্থবছরে ২ উপজেলায় সাড়ে ৫ হাজার নলকূপ স্থাপন করে। কিন্তু এই অগভীর নলকূপ স্থাপন করলেও শুষ্ক মওসুমে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। তাছাড়া কারিগরি ত্রুটি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে স্থাপনকৃত বেশিরভাগ নলকূপ বছর যেতে না যেতেই অকেজো হয়ে পড়েছে। জনসাধারণ সুপেয় পানি পেতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে সাব-মার্সেবল পা¤পযুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। এতে জনসাধারণ সুপেয় পানি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। আমরা আশা করবো, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।