স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত বিশ্ব ঐতিহ্য টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় ইজারার কথা বলে মৎস্য আহরণের ঘটনা নিয়ে সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। কথিত ইজারাদারদের মাছ ধরার সরঞ্জাম জব্দসহ বিপুল পরিমাণ জাল পুড়িয়েছে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের কিছু লোক এখনো সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরার সরঞ্জাম রয়ে গেছে এবং তারা মাছ ধরছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকার ‘টাঙ্গুয়ার হাওরেরর সংরক্ষিত এলাকায় মৎস্য আহরণ’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পরিবেশবিদরা সোচ্চার হলে প্রশাসন অভিযান শুরু করে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের ইজারার কথা বলে একটি চক্র টাঙ্গুয়ার হাওরের তেকুইন্যা, চটানিয়া ও লেছুয়ামারাসহ বিভিন্ন সংরক্ষিত জলাশয়ে মাছ আহরণ শুরু করে। এই জলাশয়গুলোসহ হাওরের মাছের অভয়াশ্রম রৌয়া বিলের একাধিক অংশ, গোলাবাড়ি গুপ নামে ও ভবানিয়ার টেক নামে এবং চটানিয়া বিলের অংশ গলাচিপা নামের অংশ, ও চটানিয়া গাঙ খাস-কালেকশনের কথা বলে স্থানীয় একাধিক চক্র প্রকাশ্যে সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরতে থাকে। এ নিয়ে সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১ জানুয়ারি থেকে এসব এলাকায় গিয়ে কথিত ইজারাদারদের মাছ ধরার সরঞ্জামসহ জাল জব্দ করে প্রশাসন। প্রায় দুই লক্ষ টাকার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাসেম বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের বাফারজোন ও কোরজন অংশসহ সংরক্ষিত এলাকার কোনও অংশ ইজারা দেওয়া হয়নি। ভুয়া ইজারার কথা বলে স্থানীয় কিছু লোক মাছ আহরণ করছিল। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে আমরা অভিযানে নামি। আমরা বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জালসহ মাছ ধরার নিষিদ্ধ সরঞ্জামও জব্দ করেছি। টাঙ্গুয়ার হাওর সুরক্ষায় আমাদের এই অভিযান চলবে।