স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের সড়কগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি যানজট মুক্ত রাখতে নিয়মিত কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। ২০২৪ সালের জানুয়াারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২২১৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর দুই পাশের ফুটপাত দখলে নেয়ায় এবং যানবাহনের সংখ্যা দিন-দিন বাড়তে থাকায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। জুলাই-আগস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের কর্মবিরতির পর সীমিত পরিসরে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেমে কাজ করায় তখন কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সড়কে বর্তমানে বাড়তি চাপের মধ্যেও ট্রাফিক পুলিশের নিরলস ভূমিকায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। যানজট নিরসন ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২২১৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আর এসব মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতিমাসে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে গড়ে ১৮৪টির বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোর দৈনিক পরিমাণ হিসেব করলে মামলার হিসেব দাঁড়ায় ৬টিরও বেশি।
জানা যায়, ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম সুনামগঞ্জ জেলার পৌর শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকসার চলাচল শুরু হলেও সময়ের পরিক্রমায় এখন শহর দখল করে রেখেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা। পৌরশহরের আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট, কালিবাড়ি পয়েন্ট, ডিএস রোড, পুরাতন বাস-স্টেশন, কোর্ট পয়েন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নিবন্ধিত এবং নিবন্ধনহীন আনুমানিক ৪ থেকে ৫ হাজার অটোরিকসা চলাচল করছে। যার কারণে সড়ক নিয়ন্ত্রণে বাড়তি চাপে পড়তে হয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে।
সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে সুনামগঞ্জের আলফাত স্কয়ার (ট্রাফিক) পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। সড়কে যানজট এড়াতে যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং সড়ক আইন মেনে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।