২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ার সুনামকণ্ঠ দৈনিক হিসেবে তার নবযাত্রা শুরু করেছিল ‘সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন’ প্রত্যয় নিয়ে। ধারাবাহিক প্রকাশনার ১০ বছরে আমাদের এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম থেকেই নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সুনামকণ্ঠকে। এতো সব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সুনামকণ্ঠ সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিতে অটল থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র জন্মদিনটি নতুন বছরের প্রথম দিন। এই দিনে পুরাতন জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে মানুষ স্বপ্ন দেখেন এগিয়ে যাওয়ার। আমরাও স্বপ্ন দেখি সুনামকণ্ঠ আরও এগিয়ে যাবে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে যাবে বিগত দিনগুলোর মতোই। প্রকাশনার পর থেকেই সুনামকণ্ঠকে নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের সহকর্মীরা নানা রকম হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারপরও আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থেকেছি এবং থাকব। বলতে দ্বিধা নেই, সুনামকণ্ঠ’র এই লড়াইয়ে অগণিত পাঠকই আমাদের প্রেরণা। সুনামগঞ্জবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনই আমাদের সাহস। দৈনিক সুনামকণ্ঠ আজ ১১ বছরে পদার্পণ করেছে। পাঠকের কাছে সমাদৃত না হলে এই পত্রিকাটি অনেক আগেই হারিয়ে যেত। প্রচার সংখ্যাও কমে যেত। কিন্তু সুনামকণ্ঠ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে বলেই আজো টিকে আছে। পত্রিকাটির এই অগ্রযাত্রায় সাথী হতে পেরে আমিও গর্বিত। দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র ১১ বছরে পদাপর্ণের এই শুভক্ষণে সম্মানিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, পরিবেশক, হকারসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। [মো. জিয়াউল হক, সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, দৈনিক সুনামকণ্ঠ]