গণমাধ্যমে প্রকাশ- অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। তাতে বিগত সরকারের আমলে রাজনীতিক বিবেচনায় পদায়িতদের প্রত্যাহার করে পদবঞ্চিতদের পদায়ন নিশ্চিত করা হবে এবং ১৬ বছর ধরে বঞ্চিত, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ইমেজের কর্মকর্তারা এই সুযোগ লাভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন পরিবর্তন অবশ্যই দেশবাসীর কাম্য বটে। এই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের প্রশাসনিক পরিসরে (বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত ও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিশেষ করে) কার্যকর করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দন জানাই এবং অভিনন্দন জানিয়েই বক্তব্য শেষ করতে চাই না। বলতে চাই যে, এই প্রক্রিয়া কার্যকর করতে গিয়ে অতীতের রাজনীতিক বিবেচনায় নিয়োগের পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে অর্থাৎ ‘দলকানা’দেরকে বাদ দিয়ে আবার নতুন করে ফের অন্যকোনও ‘দলকানা’দের পদায়ন করা যেনো না হয়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশাসনে রদবদলের এই কার্যক্রমকে ‘দলকানা’দের বিরুদ্ধে একটি ছাকনি করে তোলা হোক, এই প্রত্যাশা করছি। এই ‘দলকানা’রা দেশের ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করেন না, বরং তারা রাজনীতি করেন আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে এবং তারা আপাদমস্তক আত্মসাৎপ্রবণ হয়ে থাকেন, দেশে বিদেশে কেবল সম্পদ বাড়ান। এর ফলে তারা দুর্নীতির বাইরে কোনও নীতি অনুসরণে ব্যর্থ হন, প্রকারান্তরে দেশ পিছিয়ে পড়ে এবং দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, ধনবৈষম্য ও নৈরাজ্য বেড়ে গিয়ে দেশ দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্যে পর্যবসিত হয়।
তাছাড়া মনে রাখতে হবে যে, দেশের মানুষ আমলাতন্ত্রের রাজনীতিক ব্যবহার চান না এবং আমলাতান্ত্রিক প্রভুত্ব থেকেও মুক্তি চান। তারা চান না যে, প্রশাসনের আসনগুলোতে এক একজন মূর্তিমান মেকলে বসে থেকে একদা ব্রিটিশরা যেমন ভারতের জনগণকে দাস বানিয়ে শাসন করেছিল তেমনি করে দেশের মানুষকে শাসন করেন।
এমন পরিবর্তন অবশ্যই দেশবাসীর কাম্য বটে। এই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের প্রশাসনিক পরিসরে (বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত ও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিশেষ করে) কার্যকর করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দন জানাই এবং অভিনন্দন জানিয়েই বক্তব্য শেষ করতে চাই না। বলতে চাই যে, এই প্রক্রিয়া কার্যকর করতে গিয়ে অতীতের রাজনীতিক বিবেচনায় নিয়োগের পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে অর্থাৎ ‘দলকানা’দেরকে বাদ দিয়ে আবার নতুন করে ফের অন্যকোনও ‘দলকানা’দের পদায়ন করা যেনো না হয়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশাসনে রদবদলের এই কার্যক্রমকে ‘দলকানা’দের বিরুদ্ধে একটি ছাকনি করে তোলা হোক, এই প্রত্যাশা করছি। এই ‘দলকানা’রা দেশের ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করেন না, বরং তারা রাজনীতি করেন আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে এবং তারা আপাদমস্তক আত্মসাৎপ্রবণ হয়ে থাকেন, দেশে বিদেশে কেবল সম্পদ বাড়ান। এর ফলে তারা দুর্নীতির বাইরে কোনও নীতি অনুসরণে ব্যর্থ হন, প্রকারান্তরে দেশ পিছিয়ে পড়ে এবং দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, ধনবৈষম্য ও নৈরাজ্য বেড়ে গিয়ে দেশ দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্যে পর্যবসিত হয়।
তাছাড়া মনে রাখতে হবে যে, দেশের মানুষ আমলাতন্ত্রের রাজনীতিক ব্যবহার চান না এবং আমলাতান্ত্রিক প্রভুত্ব থেকেও মুক্তি চান। তারা চান না যে, প্রশাসনের আসনগুলোতে এক একজন মূর্তিমান মেকলে বসে থেকে একদা ব্রিটিশরা যেমন ভারতের জনগণকে দাস বানিয়ে শাসন করেছিল তেমনি করে দেশের মানুষকে শাসন করেন।