স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলায় জলমহালে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার ডিলারপট্টির তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা যুবলীগ নেতা আল সুফি রাসেল (৪৩) জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও এই মামলার ১নং আসামি আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের বৌলাই নদী জামালগঞ্জ অংশ উন্মুক্ত (শরীফপুর দক্ষিণ মাথা থেকে জামালগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত) ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রাজস্ব শাখার ১৫/১০/২০২৪ ইং তারিখের ৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/০৫.৪৬.৯০০০.০০৮.৩৪.০৪২.২০২৩.-১৬০১, নম্বর স্মারকে টোকেন ফি'র মাধ্যমে মৎস্য আহরণের অনুমতি পান কামধরপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মতিউর রহমানের মৎস্যজীবী সমিতি। পরে ওই সমিতির লোকজন মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ শুরু করলে রাসেলসহ আরো অন্যান্য আসামি একাধিকবার অবৈধভাবে জলমহালে অনুপ্রবেশ করে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ ডিসেম্বর দলবল নিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জলমহালে প্রবেশ করে আনুমানিক প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ ক্ষয়ক্ষতিসহ দেড় লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট করে বিলে থাকা মৎস্যজীবীদেরকে বেধড়ক মারপিট করেন।
ঘটনার পরদিন ১৬ ডিসেম্বর ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন কামধরপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মতিউর রহমান।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শ. ম কামাল হোসেইন জানান, এ মামলার ৭নং আসামি মো. জুয়েল (২৫) ও ৫নং আসামি আল সুফি রাসেলকে (৪৩) ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।
এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মো. আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), মো. জমির আলী (৫২), মো. আমির আলী (৪৫), আল রফিক হিমেল (৩৮), আল আফাজ জুয়েল (৩৬), আশক মিয়া (৪৫), নয়ন মিয়া (৪০), রাষ্টু মিয়া (৪২), মো. কবির হোসেন (২২), আওয়াল মিয়া (৩২), রাসেল মিয়া (৩০), রহিম মিয়া (২৫), জসিম উদ্দিন (২০), বিল্লাল মিয়া (৪৫), জামাল মিয়া (৪০), শামছুল হক (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন।