স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ধীরগতিতে। এতে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় অনেক কৃষক।
জানাযায়, উপজেলার সকল হাওরের পানি সঠিক সময়ে কমে বোরো জমি রোপণ করার প্রায় উপযুক্ত সময় ঘনিয়ে আসলেও বেহেলী ইউনিয়নের ‘বাড়িরনামা’ হাওরের পানি এখনো পুরোপুরি কমেনি। ধীরগতিতে ‘বাড়িরনামা’ হাওরের এই পানি নিষ্কাশনে বিপাকে রয়েছেন কৃষকগণ।
রবিবার সকালে ভুক্তভোগী একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে বাড়িরনামা হাওরে সরেজমিনে গেলে কৃষকদের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রহমতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মিয়া বলেন, উপজেলার অন্যান্য হাওরের তুলনায় এই মুহূর্তে আমাদের ছোট্ট এই হাওরটিতে এখনো অনেক জমি পানিতে তলিয়ে আছে। এই পানি আরো আগেই নিষ্কাশন হওয়ার কথা। কিন্তু বাড়িরনামা হাওরের মাঝখানে একটি বিল থাকাতে গ্রামের কেউ পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনা। তাই প্রশাসনের সহায়তায় যতদ্রুত সম্ভব আমাদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
শিবপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের এই হাওরে কয়েকটি গ্রামের কৃষকের প্রায় একশ একর জমি রয়েছে। সময়মতো প্রতি বছর পানি নিষ্কাশন না হওয়াতে আমরা বিপাকে পড়ে যাই।
বেহেলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জয়ন্ত তালুকদার বলেন, আমাদের এই হাওরটি যদিও ছোট, তবে এখনো জলমগ্ন রয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি হচ্ছে কিভাবে এই জলমগ্ন থেকে পরিত্রাণ পাই তার যেন ব্যবস্থা করেন।
বেহেলী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য যিশু তালুকদার বলেন, এই হাওরে এখনো পানি থাকার কারণে অনেক জমি তলিয়ে আছে। সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার।
জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারটা ইউএনও মহোদয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখেন। তারপরও আমি ওনাদের সাথে কথা বলে যৌথভাবে সমাধান করার চেষ্টা করবো।