স্টাফ রিপোর্টার ::
টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখি শিকার করে বিক্রির জন্য ফেসবুকে ভিডিও দিয়েছে এক পাখি শিকারি! এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর সচেতনমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ ব্যাপারে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পাখি শিকারি দেলোয়ার হোসেন (৩৫) তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
জানাগেছে, সম্প্রতি ‘হাওরপাড়ের মানুষ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে কুচা দিয়ে ও ফাঁদ দিয়ে পাখি শিকারের একাধিক ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেই ভিডিওতে দোলোয়ারকে বলতে শুনা যায়- আমি মাছ ধরা বাদ দিয়ে এখন হাওরে পাখি শিকার শুরু করেছি। অপরদিক থেকে অন্য একজন দেলোয়ারকে বাধা দিয়ে জেলের ভয় দেখাতেও শুনা যায়। এমন চাঞ্চল্যকর ভিডিওটি নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকারের সাথে জড়িত। শুধু দেলোয়ার হোসেন নয় হাওরপাড়ের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে তারা শীত আসলেই প্রতি বছরেই রাতের অন্ধকারে কুচা ও ফাঁদ দিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে পাখি শিকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১০ বছরে ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনের কারণেই টাঙ্গুয়ার হাওর এখন প্রায় পাখি, মাছ ও গাছ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে জানতে দেলোয়ার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সুনামগঞ্জ রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে কোনো অনিয়মকারীকে ছাড় দেয়া হবে না। পাখি শিকারকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। আর পাখি শিকার করে তার ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।