স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মো. ইয়াকুব বখত বাহলুল। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহীদুজ্জামান চৌধুরী। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সহ-সভাপতি সুখেন্দু সেন, সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায়, জেলা কার্যকরি কমিটির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।
জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ মুরশেদ আলম, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক জিয়াউর রহমান, সাংগঠনিক স¤পাদক নজরুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ হাবিবুল্লা হেলালী, জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শাহানা আল আজাদ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল গণী আনসারী, ছাতক উপজেলা শাখার সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সুজন তালুকদার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ স¤পাদক মো. আবু সাঈদ, সদর উপজেলা কমিটির দপ্তর স¤পাদক এম.আর শামীম তালুকদার, শান্তিগঞ্জ শাখার অর্থ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, দিরাই উপজেলা কমিটির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মিজানুর রহমান।
আলোচনা সভার আগে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এবারের বাঁধের কাজ মনগড়াভাবে করা হচ্ছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। কোনো কোনো উপজেলায় অপ্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধের উদ্বোধনও হচ্ছে। তারা বলেন, গতবছর পিআইসির জন্য যেমন বরাদ্দ ছিল, এবারও বরাদ্দের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবার অনেক বাঁধ শুধু সংস্কার হবে। সামান্য বরাদ্দে সংস্কার করা সম্ভব। কিন্তু ওই বাঁধে গত বছরের মতো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার বাঁধের প্রক্রিয়ার শুরুতে দুর্নীতি আরম্ভ হয়ে গেছে।
বক্তারা বলেন, এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছে মতো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেছে। গত বছর যেমন পিআইসি কমিটিতে যে কাউকে ঢুকিয়ে বাঁধ নির্মাণকাজের বাস্তবায়ন করেছিল। এবারও এমনটি হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, গতবছর পিআইসির সাইনবোর্ড বাঁধের দৃশ্যমান ও সঠিক স্থানে রাখা ছিল না, বেশিরভাগ পিআইসির সাইনবোর্ড করা হয়নি। যেগুলো করা হয়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগ বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এবারও এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। পাউবো’র এমন দূর্নীতির কারণে হয়তো এবার ফসল হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
তারা বলেন, প্রকৃত কৃষকদের সাথে নিয়ে পিআইসি গঠন করে দুর্নীতিবিহীন ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ করতে হবে এবং হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনকে সকল বিষয়ে অবগত করতে হবে পাউবো।
তারা আরও বলেন, বছর বছর হাওর-নদী খননের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ আসে কিন্তু সঠিকভাবে খনন কাজ হয় নি। বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগি ও লুটপাট হয়েছে। এবারও এমন দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুনামগঞ্জের হাওর ও নদী খনন খুবই জরুরি প্রয়োজন।