স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে শোকজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে ছুটি ছাড়াই ২ দিন নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকার দায়ে তাকে এই শোকজ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাস।
জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ গত ৫ ডিসেম্বর বৃহ¯পতিবার তার কার্যালয়ে এসে হাজিরা দিয়েই নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যান। সেখানে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি কাটালেও রবিবার তিনি অফিসে উপস্থিত হননি। শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এদিকে অনেক শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, বার্ষিক পরিক্ষা চলাকালীন একটা দপ্তরের প্রধান দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি বাড়িতে চলে যাওয়া আমরা শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য চরম হতাশাজনক। যা ইতোপূর্বে জামালগঞ্জে অন্তত বার্ষিক পরীক্ষার সময় কখনো ঘটেনি।
জানাযায়, শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জামালগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়মিত অফিস করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্প্রতি একাধিক শিক্ষক বিভিন্ন মিটিংয়ে তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অনিয়মিত অফিস করার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও সরেজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে দৈনিক সুনামকন্ঠসহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়াতে নিউজ প্রকাশ হলে শোকজ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, শোকজে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ তার মায়ের অসুস্থতার বিবরণ দিয়ে ও ছুটি না নিয়ে যাওয়ায় নিজের দোষ স্বীকার করে শোকজের জবাব দেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাস জানান, জামালগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি তার মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে আমাদের কাছে শোকজের জবাব দিয়েছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে তার অপরাধের শাস্তি শিথিল করা হলো। ভবিষ্যতে এরকম হলে অবশ্যই তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে।