জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ::
সম্প্রীতির শহর সুনামগঞ্জ। এখানকার শিক্ষার্থীসহ শিল্প-সংস্কৃতিমনা মানুষজন ভালো কাজে সব সময় এগিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, শহর পরিষ্কার, বাজার মনিটরিংয়ের পর এবার দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতিতে শহর সাজিয়ে তুলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুল-কলেজের দেয়ালের অবাঞ্চিত ও অসুন্দর সব লেখা সরিয়ে সুন্দর সুন্দর গ্রাফিতি করছেন তারা। শহরের বাসিন্দা বিভিন্ন বয়সের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মযজ্ঞে অংশ নেন।
রবিবার সরেজমিনে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, রিভার ভিউ, কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের দেখা গেল দেয়াল লিখনে। মেঘ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা রং-তুলির আঁচড়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আঁকছিল। অন্তত ৩০-৩৫ শিক্ষার্থী শিল্পকর্ম আঁকছেন। কেউ রং গোলাচ্ছেন, কেউবা মনোযোগ দিয়ে বিভিন্ন আল্পনা এঁকে চলেছেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের দেয়াল, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানগুলোতে গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্র আঁকেন তারা। গত কয়েক দিন দেশে যে সহিংসতা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে এগিয়ে যেতে চান সবাই। তাই অতীত মুছে নতুন দিগন্ত লিখছেন তারা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ, সুনামগঞ্জ-এর সভাপতি ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অয়ন চন্দ জানান, গ্রাফিতির স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে- পানি লাগবে পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো। এছাড়া বাংলাদেশের মানচিত্র, সংগ্রাম, ঐক্য, দুর্নীতি, প্রাণপ্রকৃতি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মুহূর্তসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এমন শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে পথচারীদের। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন তাদের নানামুখী সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ। আবার অনেকেই স্মৃতি হিসেবে তুলে রাখছেন দেয়ালচিত্রগুলো।
পথচারী জামিল আহমেদ বলেন, দেয়ালে দেয়ালে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ছবি আঁকছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কাজ দেখে ভাল লাগছে। তবে দেশে যেন আর কোনো আন্দোলন করতে না হয়। দেশটা যেন সুন্দরভাবে চলে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরকারি সকল অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে, কোথাও যেন বৈষম্য না হয় এটাই প্রত্যাশা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। নতুন করে দেশ গড়ার প্রত্যয় আমাদের। নতুন করে পুরোদমে দেশ সংস্কার করতে হবে। আমরা গত দু’দিন ধরে দেয়াল পরিষ্কার করে রঙ-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করছি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমাদের এই কর্মসূচি। এছাড়া অনেক দেয়ালে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান, কথাবার্তা এবং উসকানিমূলক বাক্য লেখা ছিল, যা অশোভনীয়। তাই আমরা দলবদ্ধ হয়ে দেয়াল রং করে, দেশের ঐতিহ্য, শহীদদের স্মৃতি ও আন্দোলনের স্মৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম চলবে।
পথচারীরা শিক্ষার্থীদের এমন কাজ দেখে বলছেন, শিক্ষার্থীরা যেমন নতুন বাংলাদেশ গড়ছেন, তারাই এদেশের সকল অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি রুখে দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান তারা।
সম্প্রীতির শহর সুনামগঞ্জ। এখানকার শিক্ষার্থীসহ শিল্প-সংস্কৃতিমনা মানুষজন ভালো কাজে সব সময় এগিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, শহর পরিষ্কার, বাজার মনিটরিংয়ের পর এবার দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতিতে শহর সাজিয়ে তুলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুল-কলেজের দেয়ালের অবাঞ্চিত ও অসুন্দর সব লেখা সরিয়ে সুন্দর সুন্দর গ্রাফিতি করছেন তারা। শহরের বাসিন্দা বিভিন্ন বয়সের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মযজ্ঞে অংশ নেন।
রবিবার সরেজমিনে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, রিভার ভিউ, কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের দেখা গেল দেয়াল লিখনে। মেঘ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা রং-তুলির আঁচড়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আঁকছিল। অন্তত ৩০-৩৫ শিক্ষার্থী শিল্পকর্ম আঁকছেন। কেউ রং গোলাচ্ছেন, কেউবা মনোযোগ দিয়ে বিভিন্ন আল্পনা এঁকে চলেছেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের দেয়াল, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানগুলোতে গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্র আঁকেন তারা। গত কয়েক দিন দেশে যে সহিংসতা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে এগিয়ে যেতে চান সবাই। তাই অতীত মুছে নতুন দিগন্ত লিখছেন তারা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ, সুনামগঞ্জ-এর সভাপতি ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অয়ন চন্দ জানান, গ্রাফিতির স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে- পানি লাগবে পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো। এছাড়া বাংলাদেশের মানচিত্র, সংগ্রাম, ঐক্য, দুর্নীতি, প্রাণপ্রকৃতি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মুহূর্তসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এমন শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে পথচারীদের। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন তাদের নানামুখী সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ। আবার অনেকেই স্মৃতি হিসেবে তুলে রাখছেন দেয়ালচিত্রগুলো।
পথচারী জামিল আহমেদ বলেন, দেয়ালে দেয়ালে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ছবি আঁকছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কাজ দেখে ভাল লাগছে। তবে দেশে যেন আর কোনো আন্দোলন করতে না হয়। দেশটা যেন সুন্দরভাবে চলে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরকারি সকল অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে, কোথাও যেন বৈষম্য না হয় এটাই প্রত্যাশা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। নতুন করে দেশ গড়ার প্রত্যয় আমাদের। নতুন করে পুরোদমে দেশ সংস্কার করতে হবে। আমরা গত দু’দিন ধরে দেয়াল পরিষ্কার করে রঙ-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করছি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমাদের এই কর্মসূচি। এছাড়া অনেক দেয়ালে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান, কথাবার্তা এবং উসকানিমূলক বাক্য লেখা ছিল, যা অশোভনীয়। তাই আমরা দলবদ্ধ হয়ে দেয়াল রং করে, দেশের ঐতিহ্য, শহীদদের স্মৃতি ও আন্দোলনের স্মৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম চলবে।
পথচারীরা শিক্ষার্থীদের এমন কাজ দেখে বলছেন, শিক্ষার্থীরা যেমন নতুন বাংলাদেশ গড়ছেন, তারাই এদেশের সকল অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি রুখে দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান তারা।