
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্রতিনিধি দল। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ক কমিটি।
বিএনপি গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান প্রতিনিধি দলে ছিলেন। প্রতিনিধি দল একটি প্রতিবেদন জনপ্রশাসন সচিবের কাছে হস্তান্তর করে।
সুপারিশে বিগত ৩ নির্বাচনে ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের কর্মীদের আইনের আওতায় আনা, প্রতি নির্বাচনের ৩ মাস আগে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী দোসরদের দ্রুত বিতাড়িত করার সুপারিশ জমা দেয়ার কথা জানান ইসমাইল জবিউল্লা। এছাড়া বৈষম্যের শিকার সব সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানান তিনি।
ইসমাইল জবিউল্লা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য সুপারিশ জমা দিতে এসেছি। জনআকাক্সক্ষা পূরণে সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। প্রশাসনে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। প্রশাসককে সেবক রূপে দেখতে চাই। আমরা আমরা স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের কথা বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে যারা ভোট চুরি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুন করে ডিসিদের ফিটলিস্ট করতে হবে। মাঠ প্রশাসনে নিয়োগের প্রথম ৩ মাস ফিল্ডে রাখতে হবে। বিগত দিনে যারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে তাদের বিদায় করার সুপারিশ করেছি। এছাড়া প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী দোসরদের প্রশাসন থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। বৈষম্যের শিকার সকল সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় বিচার দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো দলীয় লোক চাই না। প্রশাসনের লোক হবে নিরপেক্ষ। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রশাসনে চলবে না।
জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কারের বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে জমা দিয়েছে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।