![](https://sunamkantha.com/public/postimages/675f8564d11e6.jpeg)
আজ মহান বিজয় দিবস ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত ও পরিস্থিতির পরিসরে পালিত হচ্ছে। এই ভিন্নতাটা অসলে কেমন, একটু খতিয়ে দেখা যাক. তাহলেই সামগ্রিক দিক থেকে বিষয়টিকে কীছুটা হলেও বুঝার অবকাশ মিলবে।
এই মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধের সেনানী’ বলে অভিহিত রাজনীতিক দল ক্ষমতাচ্যুত এবং এই সুবাদে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সরকারের স্থলে অনির্বাচিত সরকার দেশের হাল ধরে আছে।
জাতি যথাসম্ভব অচিরেই অর্থাৎ যথোপযুক্ত স্বল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে অধীর অপেক্ষাপর। বিশেষ করে রাজনীতিক দলগুলো উপস্থিত মুহূর্তেই নির্বাচন চায়। এই চাপের মুখে আছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিগত দেড় দশকের স্বৈরাচারী শাসকবর্গের ক্ষমতাচ্যুতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সহায়ক শক্তি প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকার ও রাজনীতিক দলগুলোর দ্বান্দ্বিকতায় বৈরিতার উত্তাপ লেগে একটি টানাপোড়েনের পরিসর তৈরি করেছে। এদিকে বর্তমান সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন এখনও অনিশ্চিত। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ অনির্ধারিত থেকে গেছে। অপরদিকে ভূরাজনীতিক মানচিত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রশক্তির কাছে বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তারের প্রবল প্রচেষ্টা কার্যকর আছে।
এইরূপ একটি সংকটাকীর্ণ রাজনীতিক পরিস্থিতি-পরিপ্রেক্ষিতের পরিসরে দেশে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। এই বিজয় দিবসের জয় থেকে অন্য বিজয়ের দিকে যাত্রাপর হওয়াই হবে আমাদের একমাত্র জাতীয় লক্ষ্য। যে-বিজয় অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতি এখানে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি, সুখ, স্বাধীনতা ও মেধার সর্বোচ্চ বিকাশের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারবে। কিন্তু এই ‘নিশ্চিত সুযোগ তৈরি’র আগে বর্তমানর এই ক্রান্তিকালের অস্থিতিশীলতাকে জয় করতে হবে।
বিজয়ের এক পর্ব থেকে অন্য পর্বে যাত্রাপরতাই হবে অদ্যকার বিজয় দিবসের প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা। এই বিজয় দিবসে দীপ্রস্বরে বলুন করুন, আমরা বিজয় থেকে বিজয়ের দিকে যাবো।