অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান ডা. বিধান রঞ্জন রায়। রোববার (১১ আগস্ট) শপথ নেওয়ার পর তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা। এখন নিয়োগ পাওয়া ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে শুধু ফারুক-ই-আজম শপথ নেওয়ার বাকি থাকলেন। উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ফারুক ই আজম দেশে না থাকায় তিনি শপথ নিতে পারেননি। অপরদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমাকে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, ময়মমনসিংহ মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় সুনামগঞ্জের জেলার মধ্যনগর উপজেলা সদরের বসিন্দা। তাঁর পিতার নাম ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার ও মাতা মাধবীলতা রায় পোদ্দার।
১৯৬৩ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সরকারি জুবিলী হাইস্কুল থেকে ১৯৭৯ সালে এসএসসি ও ১৯৮১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এমবিবিএস স¤পন্ন করেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের পিতা প্রয়াত ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার (এমবিবিএস) আমৃত্যু নিরলসভাবে হাওরবেষ্টিত মধ্যনগর এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা ছিলেন। ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দারের তিন ছেলের মধ্যে প্রথম পুত্র অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের ছোটভাই বিকাশ রঞ্জন রায় পোদ্দার সপরিবারে কানাডাতে বসবাস করছেন এবং অপর ছোটভাই বিরেশ রঞ্জন রায় পোদ্দার একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।
মনোচিকিৎসার পাশাপাশি অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে সামাজিক চেতনার মনস্তত্ত্ব (২০১৬), এপিকুরস, আধুনিকতা ও আমরা (২০১৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অফ্রয়েডীয় ফ্রয়েডবাদীগণ (২০২০)।