জিয়াউর রহমান ::
সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক সুনামকণ্ঠ কার্যালয়ে সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি মো. সাজাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক অনুপ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আড্ডায় আলোচক ছিলেন দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা বিজন সেন রায়, প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি নির্মল ভট্টাচার্য ও সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক দুলাল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের অর্থ সম্পাদক শাহ মো. কামরুজ্জামান, সদস্য নিশেন্দু গোস্বামী, জিয়াউর রহমান, শহিদ নূর আহমেদ, বিকাশ চন্দ, আব্দুল বাছির, গিলেমান আলম, মিল্লাত আহমেদ, আদিল আরমান প্রমুখ।
আলোচকগণ বলেন, প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়ে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কবিতায় লড়াই, সংগ্রাম, প্রেম-বিরহ, ও দ্রোহ দারুণভাবে ফুটে ওঠেছে। ‘নিষিদ্ধ স¤পাদকীয়’র মতো ‘অগ্নুৎসব’ কবিতাও শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আগুন জ্বেলে দেয়। ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ পঙ্ক্তি দুটির শ্রেষ্ঠ কবি হেলাল হাফিজ। সংগ্রামে, দ্রোহে ও প্রতিবাদে তাঁর এই উচ্চারণ সবার হয়ে ওঠে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন শিক্ষক। হেলাল হাফিজ ১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা শহরের দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুবাদে ঢাকায় যাওয়ার পর তিনি আর এলাকায় ফেরেন নি। ঢাকাতেই থেকে যান আমৃত্যু। ১৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঢাকাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাংলা সাহিত্যের তুমুল জনপ্রিয় এই কবি তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
সাহিত্য আড্ডার শুরুতে কবি হেলাল হাফিজ ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডায় স্বরচিত ছড়া ও কবিতা পাঠ করেন মো. সাজাউর রহমান, শাহ মো. কামরুজ্জামান, নিশেন্দু গোস্বামী, জিয়াউর রহমান, বিকাশ চন্দ, গিলেমান আলম, আদিল আরমান প্রমুখ।