সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বর্তমান ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) এর নাম পুনরায় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ (বিডিআর) করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন কারানির্যাতিত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি করেন। এসময় কারা নির্যাতিত বিডিআর সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর জওয়ান ও সাধারণ নাগরিকসহ ৭৪ জন শহীদ হয়েছেন। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে মামুন বলেন, এই হত্যাকান্ডের নির্ভরযোগ্য পুনরায় তদন্ত হওয়া দরকার। দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক, নির্ভরযোগ্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সঠিক তদন্ত করা হোক। এতে দেশের মানুষ জানতে পারবে প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল।
তিনি আরও বলেন, যে কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বপ্রথম যন্ত্রণাময় ১৬ বছর ধরে কারাভোগ করা নিরীহ সকল বিডিআরকে কারামুক্তি করা হোক এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে মূল পরিকল্পনাকারী ও ঘাতকদের খুঁজে বের করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। এসময় তিনি তাদের ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো-
১। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক সব মামলা ও প্রহসন মূলক সব রায় বাতিল করতে হবে। ২। ১৬ বছর ধরে কারাগারে থাকা নির্দোষ সব বিডিআর সদস্যদের নিঃস্বর্ত কারামুক্তি দিতে হবে। ৩। হাইকোর্টের রিট অনুযায়ী দ্রুত পুনঃতদন্ত শুরু করতে হবে। ৪। নিরীহ বিডিআর’দের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। ৫। সব বিডিআর সদস্যদের (আনুমানিক ১৮ হাজার ৫২০ জনকে) চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। ৬। সব সেনা শহীদ, বিডিআর শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত সব বিডিআর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ (বেতন, ভাতা ও পেনশন) পুনর্বাসন করতে হবে। ৭। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ রাইফেলস নাম পুনঃস্থাপন করতে হবে। ১০। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাবেক বিডিআর সদস্য ফয়জুল আলম, জেলখানায় নিহত পরিবারের সন্তান অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য রেজাউল করিম।